Скачать или смотреть 🍹🍈গ্রীষ্মের দাবদাহে এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে জুড়িয়ে যাবে প্রাণ।🤤গরমে আরামের শরবত।ঠান্ডা বেলের শরবত।

বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? তীব্র গরমের এই সময়ে শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে একটি দারুণ পানীয়ের সন্ধান নিয়ে এসেছি আমি – বেলের শরবত! গ্রীষ্মের দুপুরে এক গ্লাস ঠান্ডা বেলের শরবত যেন অমৃতের মতো। এটা শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও। যারা গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বা একটু ঠান্ডা কিছু পান করতে চান, তাদের জন্য এই শরবত হতে পারে এক অসাধারণ বিকল্প।
বেল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল, যা তার মিষ্টি গন্ধ ও ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। পাকা বেলের শাঁস ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারে ভরপুর। এটি হজমক্ষমতা বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। গরমে ডিহাইড্রেশন একটি সাধারণ সমস্যা, আর বেলের শরবত সেই সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে।
আজ আমি আপনাদের দেখাবো কীভাবে খুব সহজে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে বেলের শরবত তৈরি করা যায়। এই রেসিপিতে আমি অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা এড়িয়ে যাব এবং চেষ্টা করব বেলের প্রাকৃতিক মিষ্টিত্ব বজায় রাখতে। যারা ওজন নিয়ে সচেতন, তারাও এই শরবতটি উপভোগ করতে পারবেন কোনো রকম চিন্তা ছাড়াই।
তাহলে আর দেরি না করে, চলুন দেখে নেওয়া যাক গ্রীষ্মের এই তীব্র গরমে শরীর জুড়াতে এবং মনকে সতেজ করতে বেলের শরবত তৈরির জন্য আমাদের কী কী উপকরণ লাগবে:
একটি পাকা বেল – মাঝারি আকারের, মিষ্টি গন্ধযুক্ত।
পরিমাণ মতো ঠান্ডা জল – শরবতের ঘনত্ব অনুযায়ী।
স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা মধু (ঐচ্ছিক) – আমি এখানে সামান্য মধু ব্যবহার করব স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে।
সামান্য লেবুর রস (ঐচ্ছিক) – একটু টক স্বাদ এবং ভিটামিন সি-এর জন্য।
কিছু বরফের টুকরো – ঠান্ডা পরিবেশনের জন্য।
সামান্য বিট লবণ (ঐচ্ছিক) – স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য।
পুদিনা পাতা (সাজানোর জন্য এবং সামান্য সতেজ গন্ধের জন্য)।
এবার আসা যাক বেলের শরবত তৈরির সহজ পদ্ধতিতে:
১. প্রথমে পাকা বেলটি ভালো করে ধুয়ে নিন। বেলের শক্ত খোলস ভেঙে ভেতরের শাঁস বের করে একটি পাত্রে নিন।
২. হাতের সাহায্যে অথবা চামচের সাহায্যে বেলের শাঁস থেকে বীজ এবং আঁশ আলাদা করে নিন। শুধুমাত্র নরম অংশটি ব্যবহার করব আমরা।
৩. একটি বড় পাত্রে বেলের শাঁস নিয়ে পরিমাণ মতো ঠান্ডা জল মেশান। জলের পরিমাণ এমনভাবে দেবেন যাতে শরবত খুব বেশি ঘন বা পাতলা না হয়। সাধারণত এক গ্লাস শরবতের জন্য এক থেকে দেড় কাপ জল যথেষ্ট।
৪. এবার হাত দিয়ে বা একটি ম্যাশারের সাহায্যে বেলের শাঁস ভালোভাবে জলের সাথে মিশিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন যেন কোনো বড় দলা না থাকে। আপনি চাইলে ব্লেন্ডারও ব্যবহার করতে পারেন, তবে হাত দিয়ে মেশালে বেলের আসল স্বাদ ও গন্ধ বজায় থাকে বেশি।
৫. যদি আপনি চিনি ব্যবহার করতে চান, তাহলে এই পর্যায়ে আপনার স্বাদ অনুযায়ী চিনি যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না চিনি সম্পূর্ণভাবে গলে যায়। আমি এখানে সামান্য মধু ব্যবহার করছি, তাই এই ধাপে আমি মধু যোগ করব।
৬. স্বাদ আরও বাড়াতে এবং একটু টক ভাব আনার জন্য সামান্য লেবুর রস যোগ করতে পারেন। লেবুর রস শরবতটিকে আরও রিফ্রেশিং করে তুলবে।
৭. অনেকে বেলের শরবতে সামান্য বিট লবণ ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। এটি শরবতের স্বাদকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনি চাইলে এক চিমটি বিট লবণ যোগ করতে পারেন।
৮. সব উপকরণ মেশানো হয়ে গেলে শরবতটিকে একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিন। এতে বেলের অবশিষ্ট আঁশ বা বীজ থাকলে তা আলাদা হয়ে যাবে এবং আপনি একটি মসৃণ শরবত পাবেন।
৯. পরিবেশনের জন্য গ্লাসে বরফের টুকরো দিন এবং ঠান্ডা বেলের শরবত ঢেলে দিন।
১০. সবশেষে, কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে শরবতটি সাজিয়ে পরিবেশন করুন। পুদিনার পাতা শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটি শরবতে একটি হালকা সতেজ গন্ধও যোগ করে।
তৈরি হয়ে গেল আপনার গ্রীষ্মের ক্লান্তি দূর করার অমৃত – ঠান্ডা বেলের শরবত! এটি যেমন সহজে বানানো যায়, তেমনই এর উপকারিতাও অনেক। গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে এই শরবত নিয়মিত পান করতে পারেন। বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর বা ব্যায়ামের পর এটি পান করলে শরীর দ্রুত সতেজ হয়ে ওঠে।
আশা করি আজকের এই বেলের শরবতের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। আর হ্যাঁ, আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না, যাতে আমি আপনাদের জন্য আরও নতুন নতুন স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি নিয়ে আসতে পারি।
গরমের এই সময়ে সুস্থ থাকুন এবং প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। খুব শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে। ধন্যবাদ!