Скачать или смотреть ভালোবাসা দিবসের করুন ইতিহাস কি ৤ History of Valentains Day ৤ 14 February History

আমরা বাঙ্গালী উৎসব জেন আমাদের রক্তের অনুতে অনুতে ছড়িয়ে রয়েছে৤ সেটা যদি হয় ভালোবাসার উৎসব তাহলে তো কথায় নেই ৤
হা আমি কথা বলছি ১৪ ই ফেব্রুয়ারি নিয়ে যাকে বলা হয় “ভেলেনটাইনস ডে ” বাংলায় ভালোবাসা দিবস”

অনেকে ভাবেছেন ভালোবাসার আবার নির্দিষ্ট দিন ক্ষন হয় নাকি ৤
মা সন্তান কে সন্তান মাকে, স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী- স্বামীকে, ভাই - বোনকে, বোন – ভাইকে,

আর তরুন –তরুনির ভালোবাসার কথা না হয় বাদ ই দিলাম তাদের জন্য তো মনে হয় দিনে ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে ৭ দিন মাসে ৩০ আর বছরে ৩৬৫ দিন ও কম হয়ে যায় ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য ৤

তারপর ও একটি নির্দিষ্ট দিনকে ভালোবাসার দিবস কেন করে হল ৤ কেনেই বা “ভেলেনটাইনস ডে ” নাম করন করা হল ৤ কে এই

“ভেলেনটাইন” কি তার ইতিহাস”
যদি আপনি এই করুন ইতিহাস জানতে চান তবে থাকুন আমার সাথে শেষ অবধি ৤

“ভেলেনটাইনস ডে ” বা ভালো বাসা দিবস নিয়ে অনেক কারন রয়েছে ৤ তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ১ টি কারন ইতিহাসের পাতা থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি

প্রথম ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয় রোম সম্রাজ্যে সে ২০০০ বছর পূর্বের কথা ৤ তবে সেটি ভেলেনটাইনস ডে হিসাবে নয়, ফেব্রুয়ারির ৩ / ৪ তারিখে লুপারক্যালিয়া নামে এক উৎসব পালিত হত, ভালোবাসা আর প্রচুর্যের আশায়৤ আদিম বর্বরতা দিয়ে ভরপুর ছিল সে দিন টি, ছিলনা ভালোবাসার কোন লেশ ৤

তবে বন্ধরা মনে রাখবেন ভ্যালেনটাইনস ডে নাম করনের ক্ষেত্রে এই রোমক দের ভুমিকা সবার প্রথমে৤

নামকরনের কারন –

২৬৯ বা ২৭০ সাল রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেনটাইন নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিতসক ছিলেন৤ সে সময় রোম সম্রাজ্য ছিল সবচেয়ে ক্ষমতাধর, রাজ্যের পর রাজ্য তারা জয় করে চলছিল ৤ ২য় রোম সম্রাট ক্রাডিয়াস সে তার সৈন্যদলকে আরও শক্তিশালি করার লক্ষ নিয়ে তরুনদের সৈন্যদলে দলে যোগদান এবং যুদ্ধক্ষেত্রে উদ্বদ্ধ হন৤ কিন্তু বাধসাধে ঐ সকল তরুনদের জীবনসঙ্গীনি ৤ তরুনীরা তাদের মনের মানুষকে যুদ্ধে পাঠাতে চায়না৤ এই পরিস্থি থেকে বাচার জন্য সম্রাট চিন্তা করেন তরুনদের যদি বিবাহ বন্ধ করা যায় তবে তাদের আর কোন পিছু টান থাকবেনা৤ যেমন চিন্তা তেমন কাজ৤ তরুনদের বিবাহ বন্ধকরে দেওয়া হল ৤ কিন্তু আইন করে কি আর ভালোবাসাকে জেলে বন্দি করা যায়৤এগিয়ে এলেন সেন্ট ভ্যালেনটাইন তিনি এই আইনের পুরাপুরি বিপক্ষে ছিলেন, তাই তিনি যে সকল তুরুন তরুনি ভালোবাসায় আবদ্ধ তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করলেন৤ এভাবে গোপনে তিনি যে সকল তরুন তরুনি ভালোবাসার জালে আবদ্ধ তাদের বিবাহ দিতেন৤ কিন্তু বেশি দিন তার এই গোপন বিষয় আর গোপন থাকলোনা ৤

সম্রাট এ তথ্য পেয়ে গেলেন ৤ আইন ভঙ্গের কারনে ভ্যালেনটইন কে বন্দি করা হল৤
ভ্যালেনটাইনকে বন্দি করা হলে সম্রাট পরলেন নতুন আর এক সমস্যায়৤ এরি মধ্যে ভ্যালেনটাইন এর অনেক ভক্ত ও বনধ হেয়ে গেছে ৤ তারা অনেক ভক্তগন ভ্যালেনটাইনের সাথে সাক্ষাতের জন্য কারাগারে যেতেন , সাথে থাকত ভালোবাসার প্রকাশ স্বরুপ নানা ধরনের ফুল, সে সব ভক্তদের মধ্যে ছিল এক অন্ধ মেয়ে, ইতিহাসে পাওয়া যায় ,ভ্যালেনটাইনের চিকিতসার ফলে মেয়েটির অন্ধত্ব দূর হয় এমনি ভ্যালেনটাইনের সাথে মেয়েটির ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়৤

ভ্যালেনটাইন আইন ভঙ্গকরে মেয়েটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ৤ এই অপরাধের কারনে সম্রাট ভ্যালেনটাইনের ফাসির আদেশ দেয় হয়৤ ফাসির মঞ্চে যাবার পূর্বে প্রেমিকাকে লিখে যাওয়া পত্রটি ছিল “ Love From Your Velentain “ আর সে দিন টি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি ৤

পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি, পোপ গেলাসিয়াস রোমানদের বর্বর উৎসবের ইতি টানা এবং সাধু ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করার উদ্দেশ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখকে ভালোবাসা দিবস ঘোষণা করেন।

১৭০০ শতাব্দিতে ইংল্যান্ড দিনটিকে জনপ্রিয় ভাবে পালোন শুরু করে ৤
১৯১৩ সাল থেকে হলমার্ক যখন ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হাজার হাজার কার্ড তৈরি শুরু করে, মূলত তখন থেকেই দিবসটির কথা ব্যাপকভাবে প্রচার পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশে।

আজ বিশ্ব ১৪ ফেব্রয়ারীর দিনটিকে ভালোবাসার দিবস হিসাবে পালোন করা হয়৤ প্রিয়োজনকে দেয়া হয় হরেক রকম গিফ্ট.. ফুল. চকলেট..

ভালোবাসা দিবস নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু অভিমত
বন্ধুরা কথা গুলি হয়তো শুনতে খারাপ লাগতে পারে , তার পর ও দায়িত্ব হিসেবে বলতে বাধ্য হচ্ছি। তবে এ কথা গুলি আমার মুমিন মুসলমান ভাইবোন দের উদ্দেশ্য করে । মানা না মানা আপনার ব্যপার ।

একবারের জন্য হলেও চিন্তাকরে দেখুন তো, ভালোবাসা দিবস হিসেবে আমরা যে দিনটি পালন করছি আর যে দিনটিকে ইতিহাসের পাতা থেকে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উৎযাপিত হচ্ছে তার সম্পর্ক কার সাথে ?

সে ধর্মযাযকের মূল উদ্দশ্য কি ছিল তা তো আমি বলতে পারবনা, কিন্তু আজ ভালোবাসা দিবস হিসাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে, আমরা যে ভাবে উৎযাপন করছি তা কি উচিত ? একটু চিন্তা করে দেখুন ?

এভাবে তরুন তরুনির অবাধে মেলামেশা রংবে রঙ্গের সাজসজ্জা, একান্তে মেলামেশা, বাধছাড়া ভালাবাসা প্রকাশের জন্য লিভটুগেদার আর কত কিছুই না করে থাকি আমরা ,

যেখানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দিনটিকে উৎসব হিসাবে উৎযাপন করছে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ গুলি দিনটি পালনকে আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

এখন চিন্তায় পরে গেলেন তাহলে আমি কি করব ? আমি একজন শুভাকাঙ্খি হিসাবে বলব এদিনটি পালন করা থেকে বিরত থাকুন অনেক গুনাহ থেকে বেচে যাবেন।