কেন এই সেফ কোর্স বিদেশগামী দের জন্য দরকার? বিদেশে গিয়ে কত টাকা বেতন পাবে একজন সেফ!
একজন শেফ কোথায় কাজ করেন?
একজন শেফ সাধারণত নিচের প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করেনঃ
রেস্টুরেন্ট
ফাস্ট ফুড শপ
বেকারি
হোটেল
মোটেল
ট্যুরিজম এজেন্সি
একজন শেফের কাজ কী?
বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করা;
খাবারের পুষ্টি ও মান নিশ্চিত করা;
রান্নাঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা;
নতুন রেসিপি নিয়ে কাজ করা;
খাবারের মেন্যু তৈরি করা;
রান্নাঘরের উপকরণ ব্যবস্থাপনা;
খাবার পরিবেশনকারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া।
একজন শেফের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
সাধারণত এইচএসসি পাস করার পর হোটেল ম্যানেজমেন্টের উপর অনার্স শেষ করে এ পেশায় আসা যায়। তাছাড়া এসএসসি বা এইচএসসি পাস করার পর ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন’ ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেও শেফ হওয়া সম্ভব।
একজন শেফের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
ডিটেইলিং ও পরিবেশনের ওপর ভালো দক্ষতা;
বিভিন্ন লোকাল কুইজিন এবং তাদের মশলা ও উপাদান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান;
কম সময়ে নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে ভালো খাবার রান্না করার দক্ষতা;
খাবারের পুষ্টি নিয়ে ভালো জ্ঞান;
নতুন রেসিপি নিয়ে কাজ করার দক্ষতা,
হোটেল বা রেস্তোরাঁর মেনু তৈরি করার দক্ষতা;
দল পরিচালনা করতে পারা;
হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও ট্যুরিজম ব্যবসা সংক্রান্ত ধারণা;
ভাষাগত দক্ষতা (বিশেষ করে আন্তর্জাতিক চেইনগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে)।
কোথায় পড়বেন কালিনারি আর্টস?
শেফ বা কুক, হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সের একটি অংশ। প্রশিক্ষিত শেফ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন’ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। এ কোর্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলোঃ বাংলাদেশি, চায়নিজ, ইটালিয়ান, ইউরোপিয়ান, ইন্ডিয়ান খাবার তৈরি প্রণালী, ডেকোরেশন, হাইজিন অ্যান্ড স্যানিটেশন। এসব বিষয়ে দুই মাসের কোর্স, ছয় মাসের এবং এক বছরের সার্টিফিকেট কোর্স করে নিজেকে তৈরি করে নেয়া যায়। তাছাড়া প্রফেশনাল শেফ কোর্স নামের একটি ডিপ্লোমা কোর্স আছে। চাকরির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কোর্সগুলো বেশি গ্রহণযোগ্য।
বাংলাদেশে যে কয়েকটি জায়গায় পড়াশোনা করতে পারেন এ বিষয়ে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পর্যটন, মহাখালী, ঢাকা;
বাংলাদেশ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, গ্রিনরোড, ঢাকা;
ইন্সটিটিউট অব ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ধানমণ্ডি, ঢাকা;
বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট, ধানমণ্ডি, ঢাকা;
রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং কোর্স, কাকরাইল, ঢাকা।
একজন শেফের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ কেমন?
বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে রেস্টুরেন্ট ও হোটেলের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাবারের চর্চাও বাড়ছে দিন দিন। তাই একজন শেফ সহজেই দেশে-বিদেশে বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট, গেস্টহাউস, ফাস্ট ফুড শপ, বেকারি, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, বিমান সংস্থা, পর্যটনশিল্প ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো বেতন ছাড়াও খাবার, বিমা, চিকিৎসাভাতা, যাতায়াত ভাতাসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন আপনি। বিদেশে শেফদের কদর আরো বেশি। এ পেশায় ভালো দক্ষতা থাকলে কালিনারি জগতের মাস্টার শেফ হবার জন্য সহজে বিদেশে ট্রেনিং নেবার বা কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
একজন শেফের মাসিক আয় কেমন?
একজন শেফের মাসিক বেতন প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে শুরুতে সাধারণত ২০-৩৫ হাজার টাকার মতো আয় করা যায় যায়। অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকলে এবং ভালো হোটেলে চাকরি পেলে আয়ের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার উপর হতে পারে। এছাড়া দেশের বাইরে চাকরি পেলে আয়ের পরিমাণও বেড়ে যায়।
ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন শেফের?
একজন অভিজ্ঞ শেফ অনায়াসেই দেশে-বিদেশে ভালো হোটেলে চাকরি পেতে পারেন। শুরুতে রেস্টুরেন্টে কাজ করলেও দক্ষ হলে তারকা চিহ্নিত হোটেলে কাজের সুযোগ পাওয়া সম্ভব। সাধারণত ৮-৯ বছরের মধ্যে ভালো ক্যারিয়ার গড়া যায় শেফ হিসাবে।
বাংলাদেশের মেয়ে প্রমী তাবাসসুম থাকেন যুক্তরাজ্যে। ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে তাঁর স্নাতকোত্তরের বিষয় ‘আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা’। প্রায় এক বছর আগে যুক্তরাজ্যে পা রেখেই তিনি বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় চাকরির আবেদন করতে থাকেন। দুই মাসের মধ্যে কাজও পেয়ে যান। আন্তর্জাতিক ফাস্টফুড চেইন ন্যানদোসের তিনি ‘গ্রিল শেফ’। মার্কেটিংয়ে পড়ালেখা করা প্রমী কেমন করে ন্যানদোসের হেঁশেলে জায়গা পেলেন?
তাই দেশে টনি খান কালিনারি ইনস্টিটিউট থেকে এক বছরের ডিপ্লোমা করেছিলাম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়ে সনদও পেয়েছি।’ এই কারিগরি প্রশিক্ষণই যুক্তরাজ্যে তাঁকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছে। এখন তিনি ন্যানদোসের মানবসম্পদ বিভাগেরও সদস্য। চাকরির পাশাপাশি তিনি কেকের ব্যবসা করছেন। ন্যানদোসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি কেক বানিয়ে দেন। শিক্ষার্থী হিসেবে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন প্রমী। সব মিলিয়ে মাসে তাঁর আয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা।
কারিগরি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো, কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে তোলা, তাঁকে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করা। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী যে কেউ এসএসসি পাস করলেই টু৵রিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
এ কোর্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলোঃ বাংলাদেশি, চায়নিজ, ইটালিয়ান, ইউরোপিয়ান, ইন্ডিয়ান খাবার তৈরি প্রণালী, ডেকোরেশন, হাইজিন অ্যান্ড স্যানিটেশন। এসব বিষয়ে 2 মাসের কোর্স, 6 মাসের 1 বছরের কোর্স করে নিজেকে তৈরি করে নেয়া যায়।
মূলত বাংলা ও ইংরেজির প্রাথমিক বিষয়গুলো লিখতে, বুঝতে ও বলতে পারাই এই বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
মাত্র ৫০০০ টাকায় সেফ কোর্সের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
CONTACT - MOHAMMAD
ABDUL HAFIZ
Head of finance & accounts
Co-founder,PCA
+8801798534657
[email protected]
www.pca.edu.bd
Page link- / professionalcookingacademy
FOOD'S channel
Информация по комментариям в разработке