সামনের সপ্তাহে গেম দিবো:-
শরিয়তপুর, নড়িয়া, ফরিদপুর, মাদারিপুর এলাকায় ইতালির প্রতি মানুষের আগ্রহ প্রচুর, এছারাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারন মানুষ বাংলাদেশের দালাল মারফত চতকদার মুখরোচক লোভনীয় আশ্বাসে, YouTube ও Facebook ঘেটে রঙিনস্বপ্ন দেখে হুট করে পাসপোর্ট বানিয়ে লিবিয়ায় পাড়িজমায়, ওখানে আনো,সুজন, আলিদের মতো দালালরা কয়েকশত বাড়িতে ইতালি প্রত্যাশী হাজার হাজার মানুষকে স্মরণার্থী হিসেবে নিজেদের জিম্মায় রেখে পরবর্তীতে আরেক দালালের হাতে দেয় যে কিনা লিবিয়ান মাফিয়া কিং অলিদ ও তার চাচা-ভাইদের মাধ্যমে যারা কিনা লিবিয়ান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করে (মাফিয়া) তাদের মাধ্যমে বোটে তোলে, এই বোটে তোলার নাম দেয় তারা (গেম দেওয়া),,,,,, জীবন বাজি রাখা গেইম....।
তারপর লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে মালটা সাগর হয়ে ইতালিয় সমুদ্রসীমায় পৌছানোর চেষ্টা চেষ্টা করে, যদি ইতালিয় সমুদ্রসীমায় পৌছাতে পারে তখন বিভিন্ন এনজিও সংস্থা তাদের ইতালি পৌছে দেয়, কিন্তু এর আগে যদি লিবিয়ান বা তিউনিসিয়ান কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পরে তো ফের জেল অথবা নতুন করে আবার গেমে যেতে হয়, এক্ষেত্রে দালালরা সরণার্থীদের নিজেদের জিম্মায় নিয়ে গিয়ে ফের গেম দেয়ানোর জন্য টাকা দাবি করে, কিন্তু টাকা দিতে না পারলে শুরু হয় অমানুষিক অত্যাচার, মারধর এমন কি কারেন্টের শটসহ সর্বপ্রকার রিমান্ডিও অত্যাচার যা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মানে মাফিয়ারা করে থাকে, আর এসব অত্যাচারের ভিডিওচিত্র বা অডিও ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে পাঠানো হয় অর্থের জন্য,
সেক্ষেত্রে যদি বডি কন্ট্রাক্ট থাকে তাহলে যতোবার আপনি ধরা খাবেন ততবার আপনাকে দালাল নিজ খরচে ছারিয়ে নিয়ে আসবে দালালের নিজ জিম্মায়(কিন্তু তারা এটা করে না), তারপর আবার গেমের নামে সেই সমুদ্রে পাঠাবে ইতালি নামক অনিশ্চিত স্বপ্নযাত্রায়, এমন অনিশ্চিত জীবন যেনেও পরিবারের সর্বশেষ সম্বল হাতে নিয়ে মৃত্যুকে গেম বানিয়ে কেনো মানুষ নিজের জীবনকে শেষ করে অজানা, অচেনা, দিকহারা অসীম সমুদ্র পাড়ি দিতে চায় মাথায় আসে না,,,,,,?
____আমরা কেনো দালালের ১০০%শিওর কথায় কান দিবো, যে টাকা খরচ করে (সুজন, আনো, আলি, দালাল) ও (অলিদ মাফিয়া) ধরে অবৈধ উপায়ে ইতালি যাচ্ছেন তার সাথে কিছু টাকা বারতি যোগকরলে বা একটু অপেক্ষা করলে তো বৈধভাবে যেতে পারেন,,,,,।
জীবনটাকে গেম বানিয়ে পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে কি লাভ,,,,,,?
____সবার প্রতি আমার অনুরোধ: এ পথযাত্রা অনিশ্চিত মরনযাত্রা ছারা আর কিছু নয়,,,।
না খেয়ে-কষ্ট করে, মৃত্যুঝুকিতে পা দিয়ে, জীবন না হারিয়ে দেশে বসে দোকানদারি করা অনেক ভালো, অন্ততপক্ষে পরিবার পরিজনের সাথে টেনশন ছারা দুবেলা-দুমুঠো খেয়েপরে বাচা যায়, কেউ দালালের কথায় পরবেন না, নিজের ও পরিবারের জীবনকে খেলায় পরিনত করবেন না,,,,,,।
আর ঐসব (ভন্ড, প্রতারক, মিথ্যাবাদী) দালাল সুজন,আনো, আলি ও মাফিয়া অলিদ ও তার বংশধরদের পাশাপাশি যারা Facebook & YouTube-এ (১-কে ১০০০বানিয়ে) ইতালি যাওয়ার লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারন সরল মানুষদের লোভে ফেলছেন, তাদের কেও বিচারের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাবো, আমরা সবাই এদেরকে জানি ও চিনি কিন্তু এদের বিচারের আওতায় আনতে পারি না কেনো, বুঝে আশে না,,,,???
বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে মরে না, তাহলে বেশি ইনকামের আশায় লোভে পরে সাগরে এমন সলিলসমাধি হওয়ার দরকারও বা কি আর বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দরকারো বা কি,,,,,??
Информация по комментариям в разработке