Скачать или смотреть প্রচলিত কিছু কুসংস্কার (Superstition) - LogicBangla

প্রচলিত কিছু কুসংস্কার (superstition) - LogicBangla
কুসংস্কার এমনই এক বিষয় যার কোনো ভিত্তি সেই । তারপরও এটি সামরাজ্য বরছে সমগ্র বিশ^ব্যপি। সেই আদিম কাল থেকে এখন পর্যন্ত মানব সমাজে অসংখ্য কুসংস্কার বাসা বিধে আছে শক্তভাবে। আজকাল আধুনিক সমাজে কুসংস্কার কিছুটা হ্রাস পেলেও তা একবারে শেষ হয়ে যায়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বা সমাজে রয়েছে অসংখ্য কুসংস্কার। এবং এ কুসংস্কার গুলো আবার বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট। তো আজকেরই এই ভিডিতে আমরা জানবো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচলিত কিছু কুসংস্কার সমন্ধে।
১. ঝাড়ফকুঁ: আমাদের মাঝে এমন কেউ নেই যে জীবনে ঝাড়ফুঁক করায়নি বা দেখেনি। বিশেষ করে প্যরালাইসিস রুগীদের ক্ষেত্রে আমারা ঝাড়পুঁক বিশেষভাবে লক্ষ করেছি। রুগীদের সামনে রেখে নানা রাকম নাচ গান, ডাকঢোল বাজিয়ে বিভিন্ন ভন্ড কতাবার্তা বলে তাদের ঝাড়ঁফুক করে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এগুলো কোনো কাজেই দেয়না। অনেক সময় তাদের উপর চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। যেমন এই ভিডিওতে আপনারা দেখতে পারছেন একজন প্যরালাইসিস রুগীকে মাটিতে পুতেঁ ফেলা হয়েছে। এবং তাকে নিজে থেকে উঠতে বলা হচ্ছে। এতে করে ঐ ব্যক্তির উপর শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন করা হচ্ছে। অনেক সময় এধরনের পদ্ধতি সফলও হয় কারণ, তারা এ ধরনের রুগীদের ম্যসেজ বা ভেষজ ঔষুধ দিয়ে থাকে। এ দ্বারা হয়তো রুগী কোনো সময় কিছুটা সুস্থ হলেও আসলে কিন্তু ঝাড়ঁফুক কোনো কাজেই দেয়নি। আবার অনেক সময় আমরা এমনও লক্ষ্য করেছি সাপে কাটা ব্যক্তিদের বিভিন্ন মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুক করানো হয়। এক্ষেত্রে তারা ঢালপালা, গাছের শিকড় সহ বিভিন্ন দেবদেবীর শরানাপূণ হয় । কিন্তু এ দ¦ারা রুগীর কোনো উপকার হয়না। এছাড়াও আমার নানা সময় নানা ধরনের রোগের ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক লক্ষ করেছি। পা ভাঙা, পেট ব্যথা, চোখ ওটা, মাথা ঘুড়ানো এমন কি ক্যানসার রোগের ক্ষেত্রেও ঝাড়ফুঁকের কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলীত আছে। বিশেষ করে গ্রামে অশিক্ষিত ও দারিদ্র জনগষ্ঠি এধরনের কুসংস্কারের উপর বেশি আস্থা রাখে।
২. ভ‚ত: ভ‚তের গল্প শোনেনি বা পড়েনি এমন মানুষ আমাদের দেশে নেই । আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি কুসংসংস্কার প্রচলি আছে এই ভ‚ত নিয়ে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে ভ‚ত নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তাছাড়া ভ‚ত তাড়ানো নিয়েও অনেক কুসংসংস্কার প্রচলিত আছে। প্রকৃত পক্ষে যে সকল কবিরাজ ভ‚ত তারানোর কাজ করে তাদের অধিকাংশই প্রতারক। ভ‚ত তাড়ানোর নাম করে তারা অসহায় রোগীতের উপর অনেক সময় শাররীক নির্যাতন করে। অনেক সময় এত করে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। অসহায় দারিদ্র লোকদের কাছে থেকে ভ‚ত তাড়ানোর নাম করে তারা অনেক টাকা হাতিয়ে নেই। এমনকি পারিবারের মধ্যে অশান্তির কারণও হয়ে তাকে এসকল প্রতারক কবিরাজ। যাদের আসলে আমার ভ‚তে ধরেছে বলে মনে করি তারা প্রকৃত পক্ষে বিভিন্ন মানসিক রোগ দ্বারা আকরান্ত। আধুনিক এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোনেও ভ‚ত বা জ¦ীন হাজীর করার মতো ভিডিও দেখতে পাই। এগুলো আসলে আমাদের সাথে প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল মাত্র।
৩. তাবিজ-কবজ: আমার আমাদের জীবনে তাবিজ-কবজ পড়িনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। আমরা সকলে নানা রোগে নানা কারনে তাবিজ পড়েছি। তাবিজ কবজ কোনো রেগের সমস্যার সমধান করতে পারে না। বিশেষ করে গ্রামের সাধারন মানুষের মধ্যে এই তাবজ কবজ ব্যবহার লক্ষ্য বরা যায়। সন্তানকে অন্যের কু-নষর থেকে রক্ষা করা। প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে আর্কষণ কারা। ভ‚তের আচর থেকে রক্ষা করা । বালা মসিবত থেকে রক্ষা কার ইত্যাদি কারণে অনেকেই তাবিজ পরিধান করে থাকে।
৪. যাদু ও তনÍ্র মন্ত্র: যাদু বা মন্ত্র করে কারো ক্ষতি করা তাকে মেরে ফেলে এমন কথা অনেকেই বিশ^াস করে। কারো নাম লিখে বা কারো শরীরের আকৃতির পুতুল তৈরি করে তার উপর মন্ত্র পরে মন্ত্র পড়ে কবরস্থানে পুতে রাখলে সেই ব্যাক্তির ধীওে ধীওে মারা যায় বা বড় কোনো অসুখে ভোবে। এমন বিশ^াস অনেকের আছে। অনেকেই রোগবালই দূর কারার জন্যও যাদুটোনা ব্যবহার করে। আসলে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এর কাযকারিতাও নেই। এই বিডিও টিতে যেমন দেখতে পাচ্ছোন এক ব্যক্তি কবরের পাশে একটি একটি ছোট খরের তৈরি পুতুল পেয়েছে যেখানে দুটি ব্যক্তির ছবি আাঁকা একটি কাগজের টুকরো পেয়েছে। দাবি করা হচ্ছে এর কারনেই নাকি একব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুকছে। এর্ব তিনিই নাকি তার তন্ত্র ব্যবহার কওে এটি পেয়েছে। আপনাদের কি মত, আসলেই কি কবিরাজরা এমন পারে নাকি তারা নিজেরাই মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্য এমন কৈশল তৈরি করে।

  / jubairtalukderleon1