Скачать или смотреть ৩ দিন ধরে বিয়ে দাবিতে ২ সন্তানের জনকের বাড়িতে অনশনে বিধবা যুবতী || বগুড়ার দুপচাঁচিয়া ||

৩ দিন ধরে বিয়ে দাবিতে ২ সন্তানের জনকের বাড়িতে অনশনে বিধবা যুবতী...

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা গত তিনদিন যাবৎ প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। প্রেমিকার অবস্থানের খবর পেয়ে প্রেমিক তাঁর মুঠোফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হয়েছেন।

সোমবার থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর ইউনিয়নের পোড়াপাড়া গ্রামে প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় গ্রামের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাছে বিচার চেয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগরের পোড়াপাড়া গ্রামের মিলন শাহ মন্টু (৩০) এর সঙ্গে প্রায় তের বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের বারাহি গ্রামের মোজাম প্রাং এর মেয়ে নাছরিন আঁখির (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পরই দু’পক্ষের সমঝোতায় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এর পর মিলন শাহ মন্টু অন্যত্র বিয়ে করেন। তাঁদের পরিবারে দুই সন্তান রয়েছে।

এদিকে নাছরিন আঁখি ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেন। কিন্তু মন্টু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরও গোপনে আগের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মাঝে মধ্যে ব্যবসার কথা বলে সে ঢাকায় গিয়ে নাছরিনের সঙ্গে সময় কাটান।

পর গোপনে তাঁদের বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়। সোমবার থেকে নাছরিন তাঁর বাবার বাড়ি এসে মন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে বিয়ের দাবিতে সে প্রেমিক মন্টুর বাড়িতে অবস্থান নেয়।

মন্টুর বাড়িতে অবস্থান নেওয়া নাছরিন আঁখি বলেন, মন্টু প্রায় নয় মাস যাবৎ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ঢাকায় আমার সঙ্গেই ছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সে আমার কাছ থেকে ২০হাজার টাকাও নিয়েছে। বিয়ের কথা বলে আমাকে ঢাকা থেকে ডেকে এনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি তাঁর বাড়ি ছাড়বো না।

জিয়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বলেন, মন্টুর সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। দুই একদিনের মধ্যে সে না এলে মেয়েকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিব।

দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এধরণের কোনো ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে জানান নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।