Скачать или смотреть G news:দুষ্পাপ্য নাগলিঙ্গম গাছ:Rare Naglingam tree in Gouripur Mymensingh.Bangladesh.

একটি বিরল প্রজাতীর গাছ নাগলিঙ্গম। এই গাছটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পুরাতন পরিত্যাক্ত রাজবাড়ী বর্তমানে গৌরীপুর থানা কম্পাউন্ডের ভীতরে বিশাল দেহীর গাছটির অবস্থান।
নাগলিঙ্গম ফুলের রানি। পাপড়ির মধ্যে নাগ বা সাপের মতো ফণা। সম্ভবত এ কারণে এর নাম হয়েছে নাগলিঙ্গম। গাছের গুঁড়ি ফুঁড়ে বের হওয়া ছড়া থেকেই ফুটে অনিন্দ সুন্দর নাগলিঙ্গম ফুল। পাঁপড়ি, রেনু, ফুলের গঠন নাগলিঙ্গম কে দিয়েছে অভূতপূর্ব স্বকীয়তা। মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয়। জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত গাছে ফুল শোভা পায়। তবে ফুলের সুবাস তীব্র নয়।
দেশে এই বৃক্ষের সংখ্যা খুবই কম। ফুলের রং, আভিজাত্য, মঞ্জুরি, গঠনশৈলী—সব কিছু মিলিয়ে একে অনন্য করে তুলেছে।ফুল নাগলিঙ্গম।তবে ফল গোলাকার বলের ন্যায়। রঙ সফেদার মত।
গৌরীপুরের জমিদারদের স্মৃতি বীজরিত স্থানে শতাব্দির প্রাচীন এই নাগলিঙ্গম গাছটি অযত্ন অবহেলায় কালের সাক্ষী হয়ে দাড়ীয়ে আছে স্বমহিমায়।
নাগলিঙ্গমের আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চল। এই গাছে ফুল ধরার পর বেলের মতো গোল গোল ফল ধরে। ফলগুলো দেখতে কামানের গোলার মত বলে ব্রিটিশরা এর নাম দিয়েছে "ক্যাননবল ট্রি"। আবার এই ফল গুলি হাতির খুবই প্রিয় খাবার বলে এর অন্য নাম হাতির জোলাপ গাছ।
নাগলিঙ্গম একটি ঔষধি বৃক্ষ। এই গাছের মূল বা শিকর, বাকল, পাতা, ফুল ও ফল থেকে ঔষধ তৈরী হয়। এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিসেপটিক হিসেবে এর নির্যাস ব্যবহার হয়।
ম্যালেরিয়া, অশ্ব ও বাতব্যথায় নাগলিঙ্গমের পাতার রস ব্যবহার হয়। নাগলিঙ্গমের গাছ থেকে তৈরী হয় পেটের পীড়ার ঔষধ। পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
যতদুর জানাযায় তৎকালিন জমিদাররাবিভিন্ন পূজায় নাগলিঙ্গম ফুল ব্যবহার করতেন এবং জমিদাররা হাতিও পুষতেন এবং হাতির প্রীয় ও ঔষদি খাবার ছিল নাগলিগমের ফল নাগলিঙ্গমের ভেষজ গুণাবলির কথা বিবেচনা করে কালিপুরের তৎকালিন জমিদার উপেন্দ্র কিশোর রায় প্রায় দেড়শ বছর পূর্বে বিদেশ থেকে এই বৃক্ষ এনে তাদের বাড়ির সামনে রোপন করেছিলেন।
দেশ ভাগের পর জমিদাররা ভারতে চলে গেলে পরিত্যক্ত এ বাড়িতে বর্তমানে গৌরীপুর থানার বাউন্ডারির ভীতরে গাছটি অযত্ন অবহেলায় দাড়িয়ে প্রতি বছর শরৎকালে ফুল ফুটিয়ে সৌরভ ছড়ায়। নাগলিঙ্গমের বর্ণে, গন্ধে, বিন্যাসে আপনি অবশ্যই মুগ্ধ হবেন।
গাছটি সংরক্ষনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নেয়ার দাবী এ উপজেলার প্রকৃতি প্রেমীদের। তাহলেই গাছটি ফিরে পাবে তার আভিজাত্য ও সৌন্দর্য।