Bodh gaya tour plan, any enquires:
Contact (8910889176)
বিহারের গয়া ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত। গয়া রেলস্টেশন থেকে ১৭ কিমি দূরে বোধগয়া, যাওয়ার জন্য সরকারি, বেসরকারি বাস পাবেন। গাড়ি বা অটো ভাড়া করে যেতে পারেন।
পাটনা স্টেশন থেকে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দূরে, গয়া জেলায় অবস্থিত,বোধগয়া। হাওড়া থেকে গয়া র অনেক ট্রেন আছে, 6 ঘন্টা সময় লাগে গয়া পৌছাতে। তাছাড়া দিল্লি, বারাণসী, হরিদ্বার থেকে সরাসরি ট্রেন চলাচল করে পাটনা র উদ্দেশ্যে।
∆রহস্যময় মহাবোধি মন্দির
আক্ষরিক অর্থে: “মহান জাগ্রত মন্দির”। রহস্যময় বৌদ্ধ মন্দিরটি প্রাচীন ঐতিহাসিক স্হান, যেখানে বোধি গাছের(Bodhi tree) নীচে ভগবান বুদ্ধ তার আধ্যাতিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। বোধি গাছ আসলে একটি পবিত্র পিপুল গাছ। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনুসারে স্থানটি প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো। মন্দিরের হিন্দু দেবদেবীর অনেক চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্য খোদিত রয়েছে।এই মন্দিরটি সম্পূর্ণ ইট দ্বারা নির্মিত। বোধগয়ার (Bodh Gaya) মহাবোধি মন্দিরের চারপাশে রেলিংটি বেশ প্রাচীন। যা খ্রিস্টপূর্ব সম্রাট অশোক দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মন্দির কমপ্লেক্স তিনটি চূড়া বিশিষ্ট, বৃহত্তম টাওয়ারটির উচ্চতা ১৮০ ফিট।
যা প্যাগোডার মতো আকারে, অন্যান্য দেশের বৌদ্ধ স্থাপত্যকে প্রভাবিত করে এবং বোধগয়া বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত।
মন্দিরটি বোধি গাছের তলায়, যার অধীনে ভগবান বুদ্ধ জ্ঞান লাভ করেছিলেন। বৌদ্ধ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, রাজকুমার সিদ্ধার্থ গৌতম, যিনি বিশ্বের দুর্ভোগ দেখেছিলেন এবং সেটি শেষ করতে চেয়েছিলেন, ফলসরূপ বিহারের গয়া শহরের কাছে ফাল্গু নদীর তীরে পৌঁছেছিলেন এবং সেখানে তিনি একটি পিপুল গাছের নীচে ধ্যানে বসেছিলেন যা পরবর্তীকালে বোধি গাছ (Bodhi Tree ) হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, তিন দিন এবং তিন রাতের পরে, সিদ্ধার্থ জ্ঞান লাভ করেছিলেন।
রাজপরিবারের একমাত্র রাজপুত্র হয়েও তিনি মানুষের সেবায় ও আধ্যাত্মিক উন্নতির চেষ্টায় সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। বৈদিক ।
জানা যায়, তৃতীয় শতাব্দীতে সম্রাট অশোকের আদেশে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে গুপ্ত বংশের রাজারা এই মন্দিরটির সংস্কার করান। পাটনা তেকে মাত্র ৯৬ কিমি দূরে অবস্থিত এই বৌদ্ধদের পবিত্র মন্দির স্থাপনে এগিয়ে আসেন চিন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, তাইওয়ান, থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। ২০০২ সালে এই মন্দির ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বৌদ্ধধর্মে বলা হয়েছে, এই গাছের তলায় দীর্ঘ তপসার পর রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম নির্বাণলাভ করেছিলেন। তারপর তাঁর নাম হয় বুদ্ধ। নির্বাণলাভের পর প্রথম সপ্তাহটি এই গাছের তলাতেই কাটিয়েছিলেন। মূল মন্দিরের পশ্চিমে একটি নির্জন জায়গায় বিশালাকৃতি এই বোধি গাছটি কে বৌদ্ধরা নিয়মিত সাধনা ও প্রার্থনা করেন। পুজাপাঠও চলে।
(প্রার্থনাকক্ষ)
নির্বাণলাভের পর দ্বিতীয় সপ্তাহটি কাটিয়েছিলেন এই প্রার্থনাকক্ষে। যেটি ‘অনিমেষলোচন চৈত্য’ নামে পরিচিত। মন্দিরে প্রবেশ পথের উত্তরে রয়েছে এই কক্ষটি।
(চনক্রমনা)
নির্বাণলাভের তৃতীয় সপ্তাহে কাটিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ চনক্রমনা তে। জানা যায়, ১৮ পা এগিয়ে ও ১৮ পা পিছিয়ে এই স্থানে সপ্তাহব্যাপী সময় কাটিয়েছিলেন।
(রত্নগড় চৈত্য)
চতুর্থ সপ্তাহটি এই চত্বরেই কাটিয়েছিলেন। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার থেকে উত্ত-পূর্বেই রয়েছে এই রত্নগড় চৈত্য।
(পদ্মপুকুর)
ষষ্ঠ সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন পদ্মপুকুর চত্বরে। মূল মন্দিরের দক্ষিণে রয়েছে এই পবিত্র স্থানটি।
(রাজ্যতন গাছ)
গৌতম বুদ্ধের ধ্যানপর্বের শেষ সপ্তাহ কেটেছিল এখানে। এই স্থানটি পবিত্র ও ধর্মীয় স্থান হিসেবে চিহ্মিত করতে একটি বৃক্ষরোপন করা হয়েছিল। মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে এই স্থানটি
বুদ্ধের সাধনাস্থল ছাড়াও রয়েছে আরও দর্শনীয় স্থান। থাই মনাস্টেরি, মুচলিন্দ লেক, রয়্যাল ভুটান মনেস্টারি, চিনা মন্দির,ভিয়েতনামিজ মন্দির, বার্মিজ বিহার মেস্টারি, সুজাতা মন্দির, সুজাতা কুটির, ইন্দোনেশিয়ান মন্দির, জাপানিজ মন্দির, দলাই লামা প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত ও ভারতের উচ্চতম বুদ্ধ মূর্তি প্রভৃতি।।
∆গ্রেট বুদ্ধ মূর্তি
৬৪ ফুট অতিকায় বুদ্ধ ধ্যান মুদ্রায় উঁচু বাতাসে একটি পদ্মের উপর বসে রয়েছেন। সাত বছরের পরিশ্রমের ফসল এই মন্দির ১৯৮৯ সালে দালাই লামা কতৃক উদ্বোধিত। ভগবানকে ঘিরে আছেন আরো ছোট ছোট মূর্তি যাঁদের মধ্যে সরিপুত্র, সুভুতির মত প্রিয় শিষ্যরাও আছেন। বিশাল মার্বেলের বেদী যার ওপর ভগবান বসে আছেন I
∆থাই মোনস্ট্রি
ভগবান বুদ্ধের বার্তা এবং বৌদ্ধধর্মের নীতি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে, কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু থাইল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় 1957 সালে গায়ায় থাই মন্দির ও মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । থাই স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ, এই সুন্দর সাইট থাই সংস্কৃতির অসংখ্য রং প্রদর্শন করে । এখানে বসবাসকারী সন্ন্যাসীরা ভগবান বুদ্ধের মতাদর্শ ও শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
∆মুচলিন্দা লেক
বোধগয়া বাস স্টেশন থেকে 1.5 কিলোমিটার দূরে মুচালিন্ডা লেক বা লোটাস পুকুর হল বিহারের বোধগয়াতে একটি পবিত্র হ্রদ। মহাবোধি মন্দিরের ডানদিকে অবস্থিত, এটি বোধগয়াতে দেখার জন্য অন্যতম সেরা জায়গা। সর্পদের রাজা মুচালিন্ডার নামানুসারে, মুচলিন্দা লেক বোধগয়ার আরেকটি শান্তিপূর্ণ স্থান। এই হ্রদের সাথে একটি কিংবদন্তি জড়িত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বুদ্ধের ষষ্ঠ সপ্তাহের ধ্যানের সময়, বুদ্ধ ধ্যান করার সময় এখানে একটি বিশাল ঝড় উঠেছিল। তখনই মুচলিন্দা ভগবান বুদ্ধকে ঝড়ের কোলাহল থেকে রক্ষা করার জন্য হ্রদের নীচে তাঁর আবাস থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বুদ্ধকে তাঁর ধ্যান থেকে বিঘ্নিত না করার জন্য তাঁর হুড ব্যবহার করেন।
#bodhgaya_tour_guide
#gaya_tour_plan
#bodhgaya_tour
#bodh_gaya_temple
#bodhgaya_mahabodhi_temple
#bodhgaya_buddha_temple
#bodh_gaya_buddhist_temple
#bodhgaya_tour_plan
#mahabodhi_temple
Информация по комментариям в разработке