সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ছৈলারচর | Am Tv News

Описание к видео সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ছৈলারচর | Am Tv News

#ছৈলার_চর

বিশখালী নদীর জলরাশির মধ্যে এক টুকরো সবুজ। প্রকৃতি যেন সব সৌন্দর্য এখানে উজাড় করে দিয়েছেন। নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় এ ভূখন্ডের নাম ছৈলার চর। পর্যটকদের মনে এটি একখণ্ড সুন্দরবন। নয়নাভিরাম এই চরটিকে ঘিরে দেখা দিয়েছে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা। পর্যটকরাও আসছেন নিয়মিত।

ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলায় যেতে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কিলোমিটার পথ। সেখান থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরোলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ছৈলার চর। যেকোনো যানবাহনে ছৈলার চর যাওয়া যাবে। সড়ক ও নৌ পথে প্রতিদিনই শত শত মানুষ যাচ্ছে ছৈলার চরের নৈসর্গ দেখতে। তবে সড়ক পথ থেকে নৌপথে ছৈলারচরে যাওয়ার মজাই আলাদা। 

উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির দক্ষিণ জনপদ কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদীর তীরে ছৈলার চর। পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও রয়েছে নানা সঙ্কট। তবু সঙ্কট উপেক্ষা করেই প্রকৃতির নয়নাভিরাম ছৈলার চর পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সুন্দরবনের মতোই দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে ছৈলার চর। ২০১৪ সালে ছৈলার চরটি পর্যটনস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রতিবছর শীত ও শুকনো মৌসুমে ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ছৈলার চর। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি আয়োজনে জেলাবাসী ছুটে যাচ্ছে ছৈলার চরে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে আসছেন ছৈলারচর পর্যটন কেন্দ্রে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কিংবা সংস্থা এখানে পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। ইতিমধ্যে চরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে দুটি রেস্ট হাউস, একাধিক গোলঘর, ডিসি লেক ও ইকোপার্ক। পর্যটকদের জন্য রয়েছে একাধিক নৌকা। মানসম্মত শৌচাগারের সুব্যবস্থা রয়েছে। নির্মিত হয়েছে একটি কাঠের সেতু। দোলনা ও বসার বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, টাওয়ার নির্মাণসহ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। এই চরে প্রবেশ করতে কোনো প্রবেশ টিকিট কিংবা টাকা লাগেনা।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া গ্রামে বিষখালি নদীতে ৩১ একর জমি নিয়ে জেগে ওঠে এক বিশাল চর। যা এখন ৬১টি একরে পরিনত হয়েছে। যেখানে রয়েছে লক্ষাধিক ছৈলা গাছ। আর ছৈলা গাছের নাম থেকেই এ চরের নামকরণ করা হয়েছে ‘ছৈলার চর’। শীতের সময় শুকনো চরে গহীন অরণ্য। চারপাশে নদীঘেরা যেন ছৈলার বনের দ্বীপ। সেখানে ছৈলা গাছে পাখিরা বাসা বেঁধেছে। অতিথি পাখিও নিরাপদ স্থান মনে করে আশ্রয় নিয়েছে। দেশীয় পাখির সারি তো আছেই। ছৈলা ছাড়াও এখানে কেয়া, হোগল, রানা, এলি, মাদার, আরগুজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমারোহ। এখানে কোন হিংস্র প্রাণী না থাকায় এবং সহজ ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারণে সারা বছর ধরেই ভ্রমণ পিপাসুদের ভীর থাকে। সারা বছর ধরেই এখানে পাখির কিচির মিছির ডাক শোনা যায়। ফলে ছৈলার চরের এ প্রাকৃতিক সৌন্দার্যে ভ্রমণকারীরা মুখরিত থাকে। পর্যটকদের কাছে চরটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে রোপন করা হচ্ছে নানা প্রজাতির গাছ, তৈরি করা হয়েছে বিশ্রামাগার, শিশুদের চিত্ত বিনোদনের ব্যাবস্থা।

চরের একদিকে ২০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ডিসি ইকোপার্ক। পার্কের মধ্যে রয়েছে একটি নয়নাভিরাম লেক। এর পাশে রয়েছে সবুজে ঘরা দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা ইকোপার্ক। যার মধ্যে কাঠের তৈরি সেতু দিয়ে হেটে হেটে সবুজ প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন করা যায়। রয়েছে বসে সময় কাটানোর জন্য সুন্দর সুন্দর বাহারি নামের টং ঘর।

স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ভ্রমণপিপাসুদের নদীর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য করেছে বিভিন্ন ব্যাবস্থা। এ চরকে কেন্দ্র করে কয়েক’শ বেকার মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। তবে সম্পুর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке