কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত পাগলা মসজিদ//pagla masjid kishoreganj . Bangladesh.

কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত পাগলা মসজিদ
#ডকুমেন্টারি #দর্শনীয় #drone #ভ্রমণ #ডকুমেন্টারি #বাংলাদেশকে #funny #comedy
#বিখ্যাত মসজিদ

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া এলাকা। নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত প্রায় আড়াইশ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। জনশ্রুতি আছে, মহাবীর ঈশা খানের অধস্তন পুরুষ দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিলকদর পাগলা দুনিয়াদারি ছেড়ে আধ্যাত্মিক সাধনায় একাকী জীবনযাপন করতেন। ফলে তিনি মানুষের কাছে ‘পাগলা সাহেব’ বলে পরিচিত ছিলেন।

এই আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিত হন এবং তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। তার ইবাদত-বন্দেগির জন্য দেওয়ান পরিবারের পক্ষ থেকে পাগলা সাহেবের নিজের পছন্দের স্থান নরসুন্দা নদীর মাঝখানে টিলার উপর একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। ওই ঘরটি পরবর্তীতে ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পাগলা মসজিদ নামকরণের ব্যাপারে আরেকটি ঘটনা লোকমুখে প্রচলিত। সেটি হলো- হয়বত নগরের প্রতিষ্ঠাতাদের পরিবারের এক নিঃসন্তান বেগমকে জনগণ ‘পাগলা বিবি’ বলে ডাকত। দেওয়ানবাড়ির এ বেগম নরসুন্দার তীরে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করলে ‘পাগলা বিবির মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।

আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটির  বর্তমান জমির পরিমাণ ৩ একর ৮৮ শতাংশ। যা নির্মাণ কালে ছিলো কেবল ১০ শতাংশ জমির উপর। তিন তলা বিশিষ্ট পাগলা মসজিদের ছাদে তিনটি বড় গম্বুজ এবং ৫ তলা ভবনের সমান একটি মিনার রয়েছে। প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থা।

পাগলা মসজিদের ইমারত খুবই সুন্দর এবং নির্মাণশৈলীও বেশ চমৎকার। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি নানা ধরণের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে খ্যাত।


বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে পাগলা মসজিদ সকল ধর্মের মানুষের কাছে এক সার্বজনীন পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র। এই মসজিদে মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়- এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সী হিন্দু-মুসলিমসহ নানা ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে এখানে আসেন । তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ঢল নামে ।

অধিক দান-খয়রাতের কারণে পাগলা মসজিদ ইতিমধ্যেই দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। জানা যায় সাধারণত প্রতি চারমাস পরপর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে প্রতিবার দানবাক্স খোলার পর অন্তত দেড়ষ থেকে আড়াই কোটি টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো পাওয়া যায় ডলার, ইউরো, সৌদি রিয়েল, ইয়েন, দিনারসহ ইত্যাদি বিদেশি মুদ্রা। এমনকি বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে এমনটাও হয়েছে।
Pagla Masjid of Kishoreganj Bangladesh is located on the banks of Narsunda River
Two and a half hundred years old historic Pagla mosque. Legend has it that Mahavir Isha Khan's male subordinate Dewan Zilkadar Khan alias Zilkadar Pagla left worldly affairs and lived a solitary life in spiritual pursuits. As a result, he was known as 'Crazy Sahib' to people.
This spiritual man floated in the middle of the river Narsunda to get mats and settled near the present mosque and many devotees gathered around him. A tin house was built on a hillock in the middle of the river Narsunda, Pagla Sahib's favorite place for his worship by the Dewan family. That house later came to be known as the 'Mad Mosque'.

------------------------------------------------------------------------
Music
Ibn Al-Noor · Kevin MacLeod
Ibn Al-Noor

℗ Creative Commons Attribution 4.0 https://creativecommon...
------------------------------------------------------------------------
This content is copyrighted. Reuse is a punishable offence