কিশোরগঞ্জ শহরের সব ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান এক ভিডিওতে | City Sight-seeing of Kishoreganj | Vlog 10

Описание к видео কিশোরগঞ্জ শহরের সব ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান এক ভিডিওতে | City Sight-seeing of Kishoreganj | Vlog 10

Maverick Mithun (M Square).
Kishoreganj District Vlog.
Everything of Kishoreganj.
Sight-seeing of Kishoreganj District.
Vlog 10.

কিশোরগঞ্জ জেলা
ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। হাওর অঞ্চলের জন্য কিশোরগঞ্জ বিখ্যাত। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকেই কালক্রমে নন্দকিশোরের গঞ্জ বা 'কিশোরগঞ্জ'-এর উৎপত্তি হয়।

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রেলপথে যাতায়াত করে। ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রেলপথের দূরত্ব ১০৮ কিলোমিটার। এই রুটে বেশ কতগুলো আন্তঃনগর এবং মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন গুলো হলো এগারসিন্দুর প্রভাতী, এগারসিন্দুর গোধুলী এবং কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস।

আসন বিভাগ অনুযায়ী ট্রেনের টিকিটের মূল্যঃ
শোভন ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা, প্রথম আসন ২০০ টাকা, প্রথম বার্থ ৩০০ টাকা, স্নিগ্ধা ২২৮ টাকা, এসি ৩৪৫ টাকা, এসি বার্থ ৫১৮ টাকা ।

বাসে করে কিশোরগঞ্জ আসতে চাইলে মহাখালী থেকে অনন্যা পরিবহন বা অনন্যা ক্লাসিক বাসে কিশোরগঞ্জ আসতে পারবেন। বাস ভাড়া ৩৩০ টাকা। সায়দাবাদ এর গোলাপবাগ থেকে অনন্যা সুপার ও যাতায়াত বাসে করেও কিশোরগঞ্জ আসতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকা (তেলের দাম বৃদ্ধির পর ভাড়া)

কিশোরগঞ্জ শহর ও আশপাশের যে যে জায়গাগুলো দেখবেন
১. পাগলা মসজিদঃ
বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ যা কিশোরগঞ্জ সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত।১৯৭৯ সালের ১০ মে থেকে ওয়াকফ্ স্টেট মসজিদটি পরিচালনা করছে। পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া নামক স্থানে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত।

জনশ্রুতি অনুসারে, ঈসা খান-র আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।।
অপর জনশ্রুতি অনুসারে, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের ‘পাগলা বিবি’র নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।

২. গুরুদয়াল কলেজঃ
১৯৪৩ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী খান বাহাদুর আব্দুল করিম সাহেব ও শিক্ষানুরাগী আইনজীবী জিল্লুর রহমান এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘‘কিশোরগঞ্জ কলেজ’’ নামে গুরুদয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৫ সালে কৈবর্তরাজ গুরুদয়াল সরকার কলেজটির আর্থিক দূর্দশা মেটাতে ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে বিনাশর্তে তৎকালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেন ও এই অর্থ দিয়ে কলেজটির জন্য নিজস্ব জমি ও কলেজ ভবন নির্মিত হয়। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে কলেজটির নতুন নামকরণ হয় ‘‘গুরুদয়াল কলেজ’’।

৩. মানব বাবুর জমিদার বাড়িঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হোসেনপুর উপজেলার গাংগাটিয়ায় অবস্থিত মানব বাবুর ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। গাংগাটিয়া জমিদার বাড়িটির গোড়াপত্তন হয় ব্রিটিশ শাসনামল শুরুর দিকে। এই জমিদার বাড়ির আছে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ভোলানাথ চক্রবর্তী। অন্যান্য জমিদার বাড়ির মত এটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত না হয়ে এখনো এটি পুরোপুরি টিকে আছে। কেননা এখনো এই জমিদার বাড়ির বংশধর এই বাড়িতে বসবাস করতেছেন। এই জমিদার বাড়ির বর্তমান বংশধর হচ্ছেন মানব বাবু(ডাকনাম) মানবেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী ।

৪. শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদুল আযহা নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া 'সাহেব বাড়ির' পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসলি্লদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে 'সোয়া লাখ' কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে এর নাম হয় 'সোয়া লাখি' । পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়।
আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া_ সেখান থেকে শোলাকিয়া।

৫. ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি দূর্গ
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে নরসুন্দা নদীর তীরে দূর্গটির অবস্থান।
জঙ্গলবাড়ি দূর্গ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাবিশেষ। মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁ ছিলেন বাংলার বার ভূঁইয়াদের প্রধান। ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি প্রকৃতপক্ষে ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

৬. চন্দ্রাবতী মন্দির
চন্দ্রাবতী মন্দির বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত বাংলা আদি মহিলা কবি খ্যাত চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবাহী একটি স্থাপনা। চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি হিসেবে সুবিখ্যাত। চন্দ্রাবতী মন্দির বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। প্রকৃতপক্ষে মন্দিরটি একটি শিব মন্দির। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাধীন মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে শিবমন্দিরটির অবস্থান।

Email: [email protected]
Facebook:   / debasis.chakraborty.94  
Facebook Page:   / maverick.mithun1986  
Instagram:   / debasismithun   /
Music Credit :
YouTube Audio Library
===============================
Thanks all.

Комментарии

Информация по комментариям в разработке