Скачать или смотреть “মাত্র কয়েক ঘণ্টায় দুই চুরি কাণ্ডে চমক! মগরা থানার পুলিশের অবিশ্বাস্য সাফল্য”

মগরা থানা পুলিশের দ্রুততা ও দক্ষতায় চুরির দুটি বড় ঘটনায় সাফল্য: চোরাই মাল উদ্ধার, আসামিরা গ্রেপ্তার

মগরা, ২৮ অক্টোবর : মগরা থানা পুলিশের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও গোয়েন্দা নজরদারির ফলে গত কয়েকদিনের মধ্যে দুটি চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে চোরাই মাল উদ্ধার করায় এলাকাবাসীর মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা আরও বেড়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওসি) শ্রী দীপঙ্কর সরকারের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ টিমগুলি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে এই সাফল্য অর্জন করেছে।

প্রথম ঘটনা:— বিটিপিএস হাউসিং কোয়ার্টারে চুরি – তিন ঘণ্টায় আসামি গ্রেপ্তার

গত ২৫ অক্টোবর সকাল ৭:১৫ নাগাদ বিটিপিএস হাউসিং কোয়ার্টারের ‘বি-ওয়ান’ ব্লকে এজিএম পদে কর্মরত শ্রী শান্তনু দাসের বাসভবনে চুরির ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে গৃহস্থালি সামগ্রী, ধর্মীয় পুস্তক,মূর্তি, বিভিন্ন পেতলের ধাতব মূর্তি, গুরুত্বপূর্ণ এমপ্লয়ি ফ্যামিলি হেলথ বুক এবং পলিসি ডকুমেন্টস চুরি করে নিয়ে যায়।

ঘটনার দিন দুপুর ২:২৫ নাগাদ শ্রী শান্তনু দাস মগরা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তৎক্ষণাৎ মগরা থানা মামলা নং ৫০৩/২৫, ধারা ৩০৫(A)/৩৩১(৪) রুজু করা হয়। ওসি শ্রীদীপঙ্কর সরকার এসআই শ্রী সুজন সরকারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

তদন্তকারী দলের সদস্য এ .এস.আই রোনাল্ড লিপার্ট, এস.আই সন্তোষ তালুকদার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা গঠিত বিশেষ টিম গোয়েন্দা সূত্রে সংগৃহীত তথ্য ও বি টিপিএস টাউনশিপ গেটের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তিনজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে টিমটি পালপাড়া এলাকা থেকে শুকদেব দে (পিতা: সুকেশ দে) এবং অমিত মন্ডল ও সুমিত মন্ডল (উভয়ের পিতা: অশোক মন্ডল)- কে গ্রেপ্তার করে।

২৬ অক্টোবর আসামিদের চুঁচুড়া আদালতে হাজির করা হলে মহামান্য আদালত ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। ২৭ অক্টোবর ভোরে আসামিদের নিয়ে গোপন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে সমস্ত চোরাই মাল উদ্ধার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, অমিত মন্ডল ও সুমিত মন্ডলের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।

দ্বিতীয় ঘটনা:— কোলা গ্রামে সোনার গয়না চুরি – পাঁচ আসামি গ্রেপ্তার, ৪৮ গ্রাম সোনা উদ্ধার

মগরা থানার অন্য এলাকায় আরেকটি চুরির ঘটনা ঘটে ২৪ অক্টোবর সকাল ১১:০০ থেকে ১২:২০ নাগাদ। মগরার কোলা গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমতি উন্নতি দাশের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা তালা ভেঙে ঢুকে আলমারি ভেঙে *প্রায় ৮ ভরি সোনা ও ৪ ভরি রুপোর গয়না* চুরি করে নিয়ে যায়।

২৫ অক্টোবর দুপুর ১:২৫ নাগাদ শ্রীমতি দাশ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে *মগরা থানা মামলা নং ৫০২/২৫, ধারা ৩০৫(A)/৩৩১(৩)* BNS রুজু হয়। ওসি শ্রীদীপঙ্কর সরকার এস.আই শ্রী অক্ষয় পালকে তদন্তভার দেন। এস.আই নিশাদ আহমেদ, এস.আই সুদীপ সানা সহ গঠিত দল সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একজন সন্দেহভাজনের ছবি শনাক্ত করে। ছবিটি পান্ডুয়া থানায় পাঠালে সেখানকার অফিসার শ্রী রামিজ মন্ডল আসামির পরিচয় নিশ্চিত করেন।
#crimepressbengal #news #newsupdate #sabscribe #vairalnewsbangla #bengalnews #breakingnews #localnews #vairalnews #newsheadlines
#MograPolice #HooghlyNews #WestBengalPolice #CrimeControl #BreakingNews #ChoriCaseSolved #PoliceSuccess #CrimePressBengal #BengalNews

২৬ অক্টোবর গভীর রাতে পান্ডুয়া এলাকা থেকে শেখ নফিরুল কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী শেখ আলম*(সিমলাগড়), **হাফিজুল শেখ নাসেরা বিবি ও শেখ আমিন হোসেন কে একে একে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৭ অক্টোবর পাঁচ আসামিকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করলে মহামান্য আদালত ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। এই বিশেষ টিম হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর *আনুমানিক ৪৮ গ্রাম সোনা উদ্ধার* করেন।


মগরা থানা পুলিশের বার্তা:—
“আমরা জনগণের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা সতর্ক। কোনো অপরাধীই পার পাবে না।” এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে এবং কোনো সন্দেহজনক ঘটনা দেখলে তৎক্ষণাৎ থানায় খবর দিতে অনুরোধ জানিয়েছে মগরা থানা পুলিশ।