Tagorean Song in Muktochhondo/ Tori Amar Hothat Dube Jay/ Bichitra/Remembering Samar Bhattacharya

Описание к видео Tagorean Song in Muktochhondo/ Tori Amar Hothat Dube Jay/ Bichitra/Remembering Samar Bhattacharya

প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গদের নাম জানার জন্য কমেন্ট্‌স অংশ দেখুন এবং ডেসক্রিপশন বক্সে প্রদত্ত গবেষণা মূলক টীকাটি অনুগ্রহ করে পাঠ করুন। শব্দের গুণগত মানের জন্য ব্লুটুথ স্পীকার, সাউন্ড বক্স অথবা হেডফোন ব্যবহার করুন।

গবেষণামূলক টীকা

গীতবিতান তৃতীয় খণ্ডে বিচিত্র পর্যায়ের গানটি স্বরবিতান ৫১ খণ্ডে (চৈত্র ১৩৬৩, ১৯৫৬) নিবদ্ধ। স্বরলিপিকারের নাম জানা যায়নি বলে স্বরবিতানে অনুল্লিখিত আছে।
কিন্তু স্বরলিপিটি প্রথম প্রকাশিত হয় " সঙ্গীত প্রকাশিকা" নামক গ্ৰন্থে (আষাঢ় ১৩১৪, ১৯০৭)। এখানেও স্বরলিপিকারের নাম ছিল না এবং এই প্রথম স্বরলিপিই স্বরবিতানে গৃহীত হয়। স্বরবিতানের এই খণ্ডে মোট ৫টি গানের ক্ষেত্রে স্বরলিপিকারের নাম অনুল্লিখিত আছে। ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই নাম অন্বেষণের প্রচেষ্টা দেখিনি।
তালবদ্ধ গানটির সঠিক তাল নিয়ে আশ্চর্যজনক বিভ্রান্তি আছে এবং যেসব গ্ৰন্থে তাদের উল্লেখ করা হয়েছে, তার অধিকাংশই ভুল ---
ক. মোহিত চন্দ্র সেন সম্পাদিত 'কাব্যগ্ৰন্থ’, ৮ম ভাগ, ১৯০৩ - একতাল।
খ. যোগীন্দ্রনাথ সরকার প্রকাশিত 'গান' , ১৯০৮ - একতাল।
গ. 'গান' ১৯০৯ – একতাল (প্রকাশক – চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস) ।
কিন্তু পূর্বোক্ত 'সঙ্গীত প্রকাশিকা'তে 'কাওয়ালি' বলা হয়েছে।
এগুলিকে অনুসরণ করে প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় 'একতাল' বলেছেন (গীতবিতান_ কালানুক্রমিক সূচী)। সঙ্গীতের প্রয়োগগত দিক সম্বন্ধে আনুষ্ঠানিক ধারণার অভাব থাকলে এই সমস্যা তৈরি হয়।আবু সয়ীদ আইয়ুব ও শঙ্খ ঘোষের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
স্বরবিতানে তাল ও রাগের উল্লেখ করা না থাকলেও স্বরলিপিটি পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় যে ৪/৪ছন্দে ৮ মাত্রার তালের ব্যবহার হয়েছে। এটিকে কাহারবা অথবা কাওয়ালি তাল বলা যেতে পারে। এই দুটি তালে মাত্রা ও ছন্দ এক হলেও বোলের তফাৎ আছে। অধ্যাপক সুবোধ নন্দীর 'ভারতীয় সঙ্গীতে তাল ও ছন্দ' গ্ৰন্থটি পাঠ করা প্রয়োজন। কিন্তু একতাল ৩/৩/৩/৩ ছন্দে ১২মাত্রার তাল। অতএব স্বরলিপিতে ছন্দের বিন্যাস অনুযায়ী এটি একতাল নয়। সুভাষ চৌধুরী যেহেতু তত্ব ও বাস্তব প্রয়োগ উভয় দিক থেকেই তালের বিষয়টি বুঝতেন, তিনিও কাহারবা বলেছেন (গীতবিতানের জগৎ পৃষ্ঠা-৪৯৭)।
তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই রাগের ব্যাপারে টোড়ি ভৈরবী বলা হয়েছে যদিও স্বরবিতানে তার উল্লেখ নেই।১৯০৯এর পর থেকে সাধারণভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিভিন্ন সংকলন গ্ৰন্থে রাগ ও‌ তালের উল্লেখ দেখা যায় না। তাল নিবদ্ধ একটি গান কিভাবে মুক্তছন্দের গানে পরিণত হল এ সম্বন্ধে কোন সঙ্গীত গুরুর লেখা বা সাক্ষাৎকার দেখিনি।মায়া সেন ২০০৫ সালে আগষ্ট মাসে মুক্তছন্দে গানটি শিখিয়েছিলেন। তবে নিশ্চিতভাবে এর উদ্ভব হয়েছে শান্তিনিকেতনে এবং মায়াদি সঙ্গীতভবনের ছাত্রী হিসাবে সেভাবেই হয়ত শিখেছিলেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার উৎস হতে পারেন।
রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণের বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকেই শান্তিনিকেতনে সঙ্গীতগুরুদের সুরপ্রয়োগের বিষয়টি উদ্বিগ্ন করেছিল সুধীরচন্দ্র কর, শৈলজারঞ্জন মজুমদার ও অনাদিকুমার দস্তিদারকে ('রবীন্দ্রসঙ্গীতে অনাদি কুমার' বিশ্বভারতী প্রকাশিত সংকলন গ্ৰন্থ এবং ' দেশ' পত্রিকায় অনাদিকুমার-লিখিত প্রবন্ধ,২৭ অগ্ৰহায়ণ ১৩৬৫, ১৯৫৮)। উল্লেখ্য যে অনাদি কুমার গান শিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, দিনেন্দ্রনাথ, ভীমরাও শাস্ত্রী ও রাধিকামোহন গোস্বামীর কাছে।
আমি তালবাদ্য সমেত কোন রেকর্ড পাই নি। এক্ষেত্রে আকাশবাণী ও দূরদর্শনের মহাফেজখানা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।
প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় অনুমান করেছেন গানটি কবির ৩৯ বয়সে লেখা।কারণ 'চিরকুমার সভা'র জন্য গানটি লিখিত হয় যা উপন্যাস হিসাবে প্রথম প্রকাশিত হতে শুরু করে ভারতী প্ত্রিকায় ১৪০৭ বৈশাখ থেকে।তখন কবির বয়স ৩৯। এরপর নাটক হিসেবে প্রকাশিত হয় ১৩/০৪/১৯২৬ তারিখে। চিরকুমার সভার মূল পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি। অতএব গানটি লেখার সঠিক তারিখ আমরা জানি না।
নাটকে গানটি প্রেমে ব্যর্থতার আপাত সম্ভাবনার একটি কৌতুককর চটুল পরিস্থিতিতে গীত হয়েছে। নাটকটির ধারাবাহিক জনপ্রিয়তার প্রেক্ষাপটে নিশ্চিতভাবে হয়ত তালবাদ্য ব্যবহার হত। এইসব তথ্য নেই।

বাস্তবে গানটি বেদনার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাংলা চলচ্চিত্র সেভাবেই গানটিকে ব্যবহার করেছে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে এই উদাহরণ বিরল নয়। যেমন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'স্বপ্নময়ী' নাটকে রবীন্দ্রনাথ লিখিত 'অনন্তসাগরমাঝে' গানটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে পরবর্তীকালে বৃহত্তর সঙ্গীত সমাজে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আমার উক্ত গানটির রেকর্ডে যে গবেষণা মূলক টীকা আছে তা পাঠ করতে অনুরোধ করছি (    • Tagorean Song in Muktochhondo/ Ononto...   )।
চারতুকের এই গানটির পাঠান্তর আছে _
ক. 'ভেসেছিলেম স্রোতের ভরে' (সঙ্গীত প্রকাশিকা)।
খ. 'ভেসেছিল স্রোতের ভরে '(গান,১৯০৯)।
গীতবিতান/স্বরবিতানে সংগীত প্রকাশিকার পাঠটিই গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মূল পাণ্ডুলিপি দেখা হয়েছিল কিনা আমরা জানি না।

গানটি গীতবিতানের দ্বিতীয় সংস্করণের তৃতীয় খণ্ডে আছে। এর সম্পাদনা করেন শ্রী কানাই সামন্ত। তিনি মূল পাণ্ডুলিপি সম্বন্ধে কিছু বলেননি। এই রেকর্ডের প্রচ্ছদের পটভূমি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে শ্রী কানাই সামন্ত-অঙ্কিত ‘শান্তিনিকেতনের ঘণ্টাতলা’ চিত্রটি। এটি গৃহীত হয়েছে শ্রী সুধীরঞ্জন দাস-লিখিত ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ গ্রন্থ থেকে।

প্রচ্ছদে জেকব এপস্টাইনের নির্মিত রবীন্দ্রনাথের একটি ব্রোঞ্জমূর্তির আলোকচিত্র ব্যবহৃত হয়ছে।

No infringement of copyright is intended.

Комментарии

Информация по комментариям в разработке