২ এপ্রিল ২৪ খ্রি: রোজ মঙ্গলবার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর সেমিনার কক্ষে হিজলা সমিতি, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তসলিম উদ্দিন এর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ও হিজলা সমিতি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব প্রফেসর ডক্টর এম এ নয়ন রহমান স্যারের সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো: জসিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর (অব.) মোজাম্মেল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মাহাবুবুল আলম দুলাল, ইন্জিনিয়ার লে. কর্নেল (অব.) এম আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব রনজিত কুমার, ড.এম.কামাল উদ্দিন জসিম, ডা: এ এস এম মঈন উদ্দিন, ড.দেওয়ান আজাদ রহমান, পরমাণু বিজ্ঞানী ড.শহীদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ মৃধা, এডভোকেট দেওয়ান মনির হোসাইন, ডা: শাহ সিকান্দর তুহিন, শফিকুল ইসলাম রোকন, একেএম মাসুদুর রহমান, প্রমুখ। অত্যন্ত প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক হিজলা বাসীর উপস্থিতিতে সভাপতি মহোদয় "হিজলা মহিলা কলেজ" প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেন। ড.এম.কামাল উদ্দিন জসিম এর দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ইফতার পূর্ব অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। নামাজের পর হিজলা উপজেলায় “হিজলা মহিলা কলেজ” নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে-আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়..
হিজলা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয়। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজলা থানার কার্যক্রম চালু হয়। দেশের মানচিত্রে বরিশালের উত্তরে ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর জেলার কোলঘেসে অবস্থিত হিজলা উপজেলা। উত্তরে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা, দক্ষিণে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা, পশ্চিমে মুলাদী উপজেলা। জেলা সদর হতে দূরত্ব ৫০ কিঃ মিঃ। এটি নদী বেষ্টিত একটি এলাকা। হিজলা উপজেলার আয়তন ৫১৫.৩৬ বর্গ কি.মি. । হিজলা উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন, ১২১টি গ্রাম, ১২১ মৌজা নিয়ে গঠিত।[২] সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হিজলা থানার আওতাধীন। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হিজলা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৪৬,০৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭২,৭৮৯ জন এবং মহিলা ৭৩,২৮৮ জন। মোট পরিবার ৩০,৫২৯টি। হিজলা উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪০.৮%। এই উপজেলার দর্শনীয়স্থানগুলোর মধ্য বড়দাকান্ত বাবুর পঞ্চরত্ন মঠ বা "বাবুর বাড়ির মঠ" অন্যতম। হিজলা উপজেলাধীন গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বাজারের উত্তর পাশে অবস্থিত। মঠ টি শত বছরের পুরাতন স্থাপনা। ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার বড়দাকান্ত মিত্র, হিজলার কাউরিয়াতে এই মঠটি নির্মাণ করেন। এটি বরিশালের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা। উঁচু বেদীর উপর বিশেষ স্থাপত্য রীতিতে তৈরি এই পঞ্চরত্ন মঠ স্থানীয়ভাবে জোড়া মঠ নামে পরিচিত। ২০১৮ সালে এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। মঠটির পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ১৩.২ মিটার ও উত্তর-দক্ষিণে প্রস্থ ১২.১৫ মিটার। দোতলাবিশিষ্ট এ মঠটির দেয়ালগুলো ৬০ সে.মি. চওড়া। মঠটির নিচতলার পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দেয়ালে তিনটি করে প্রবেশপথ রয়েছে। উত্তর দেয়ালে পাঁচটি জানালা এবং পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দেয়ালে দু’টি করে জানালা রয়েছে। নিচতলার প্রবেশপথ ও জানালাগুলো সমতল খিলানবিশিষ্ট। দোতলায় উঠার জন্য মঠটির দক্ষিণ দিক দিয়ে ২২ ধাপের একটি সিড়িঁ রয়েছে। নিচতলার মাঝখানের কক্ষদ্বয়ের ঠিক বরাবর উপরে দোতলায় বর্গাকার দু’টি কক্ষ রয়েছে। দোতলার কক্ষ দু’টির উপরে একটি করে বড় আকারের গম্বুজ রয়েছে। বড় গম্বুজের চারকোণে চারটি করে ছোট গম্বুজ রয়েছে।
Информация по комментариям в разработке