Скачать или смотреть হাদীস পাঠের আসর (২০২৫) —১৫ : ইসলাম

হাদীস পাঠের আসরের আজকের পর্বে গুরুজী হাদীস শরীফ বাংলা মর্মবাণীর ধর্ম অধ্যায়ের ইসলাম প্রসঙ্গের ৩৪২ থেকে ৩৬২নং হাদীস পাঠ ও বিশ্লেষণ করেছেন।

ইসলাম কী? ৩৪২নং হাদীসে বলা হয়েছে- ইসলাম হচ্ছে সদুপদেশ সংযম সমর্পণ ও কল্যাণ কামনা। উত্তম ঈমানের প্রকাশ হচ্ছে সদাচরণ। অর্থাৎ, আপনার ভেতরে ঈমান আছে কিনা তা বোঝা যাবে আপনার আচরণ দেখে। যদি আপনার আচরণ সৎ হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি উত্তম ঈমানের অধিকারী।

আর ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে আন্তরিকতা। অর্থাৎ, ধর্মানুরাগের অবস্থান অন্তরে। এ-জন্যে ধর্মের ব্যাপারে আন্তরিকতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আসলে ধর্ম খুব সহজ; আমরা-ই একে কঠিন করে ফেলেছি। যে-কারণে অনেকের কাছেই প্রকৃত ধার্মিক হতে পারাটা দুঃসাধ্য মনে হয়। অথচ রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,

ধর্মপালনকে মানুষের জন্যে সহজ করো। একে মানুষের জন্যে কঠিন কোরো না। তাদের সুসংবাদ দাও। ভীতসন্ত্রস্ত করে ধর্ম থেকে তাদের দূরে সরে যাওয়ার কারণ হয়ো না। (৩৫১নং হাদীস)
—আনাস ইবনে মালেক (রা); বোখারী

নবীজীবনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, তিনি মানুষের জন্যে ধর্মপালনকে সবসময়ই সহজ করে দিয়েছেন এবং ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।

(তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরো না।) ‘অতীতে ধর্মচর্চা নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করেছে, তারা নিহত ও ধ্বংস হয়েছে।’ (৩৫৪নং হাদীস)
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); মুসলিম

এ-কারণে নবীজী (স) ধর্মের ব্যাপারে সবসময় মধ্যপন্থা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে এমনকি অহেতুক তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়াটাও তাঁর শিক্ষার পরিপন্থি।

‘তোমরা ধর্মীয় নিগূঢ় বিষয় নিয়ে (আলোচনা করতে পারো, কিন্তু) কখনো তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হবে না। সাবধান! অতীতে এই তর্ক-বিতর্ক/বাহাস করতে গিয়েই বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে।’ (৩৫৫নং হাদীস)
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী

নবীজী (স) সবসময় তর্ক-বিতর্ক পরিহার করে সহজ সাবলীল বোধগম্য ভাষায় ধর্ম শিক্ষা দিতে বলেছেন। ধর্মান্ধতা পরিহার করে সব বিষয়ে সহজ সমাধানের পথে হাঁটা-ই তাঁর জীবনদৃষ্টান্ত।