মহাত্মা গান্ধী র দাম্পত্য জীবনের কাহিনী | Married life of Gandhi | বাংলা

Описание к видео মহাত্মা গান্ধী র দাম্পত্য জীবনের কাহিনী | Married life of Gandhi | বাংলা

Join this channel to get access to perks:
   / @amiavijitbolchi  

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও ভারতীয় জাতির জনক, লোকমুখে ‘বাপু’ নামেও পরিচিত। স্বাধীনতা সংগ্রামে উৎসর্গীকৃত জীবন ও নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শনের কারণে সমগ্র পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত হয়েছেন এই মহান নেতা, পেয়েছেন ‘মহাত্মা’ উপাধি। সত্যাগ্রহ ও অহিংস আন্দোলনের মতো বিরল কিন্তু শক্তিশালী অস্ত্রের দ্বারা ব্রিটিশ রাজত্বকে নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন গান্ধী। যারা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাদের কাছে গান্ধীর রাজনৈতিক কর্মধারা বরাবর বিতর্কিত। কিন্তু তবুও সাধারণ মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন পেতে নিয়েছেন এই আত্মত্যাগী স্বাধীন ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা।
১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের পোরবন্দর রাজ্যে (বর্তমান গুজরাট) এক বেনিয়া হিন্দু পরিবারে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম। তার বাবা করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দিওয়ান, আর মা পুতলিবাই ছিলেন এক সমৃদ্ধ প্রণমী বৈষ্ণব পরিবারের মেয়ে। শিশু গান্ধী যথেষ্ট রঙিন মেজাজের ছিলেন। প্রথাগত কোনোকিছু স্বতঃসিদ্ধভাবে মেনে নেয়া তার স্বভাব ছিল না। প্রতিটি জিনিস যাচাই করে দেখতে তিনি পছন্দ করতেন। কুকুরের কান ধরে মোচড় দেয়া তার প্রিয় খেলা ছিল। বড় ভাইয়ের সূত্রে পরিচিত শেখ মাহতাবের কথায় নিরামিশাষী পরিবারের ছেলে গান্ধী গো-মাংসও ভক্ষণ করেছিলেন। এমনকি শেখের সাথে নিষিদ্ধ পল্লীতেও তিনি গিয়েছিলেন বলে জানা যায়, তবে সেই জায়গা তার ভালো না লাগায় দ্রুত ত্যাগ করেন।

এক চাচার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তরুণ গান্ধী সিগারেট খেতেও শুরু করেন, এমনকি সিগারেটের জন্য তামার পয়সা চুরি করতেও শুরু করেন তিনি। যখন আর চুরি করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন আসক্তির কারণে তিনি আত্মহননেরও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। বন্ধু শেখের বাহুবন্ধনী থেকে একবার কিছু সোনা চুরি করেন গান্ধী। পরে এ নিয়ে তার প্রবল অনুশোচনা হলে পিতার কাছে নিজের চৌর্যাভ্যাসের বিবৃতি দিয়ে আর কখনও না এমন কাজ না করার ওয়াদা করেন।

পরবর্তীতে শ্রাবণ ও হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী দ্বারা গান্ধী প্রবল আলোড়িত হন। এসব কাহিনী ও নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দ্বারা গান্ধী বুঝতে পারেন সত্য আর প্রেম হলো মানবজীবনের সবচেয়ে বড় গুণ। ১৩ বছর বয়সে গান্ধীজি কস্তুর্বা মাখনজিকে বিয়ে করেন। সেই বয়সে বিয়ে তার কাছে তেমন কিছুই ছিল না। বিয়ে উপলক্ষ্যে নতুন পোষাক পরতে পেরেই তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে স্ত্রীর প্রতি তার টান ও আকর্ষণও বাড়তে থাকে, এমনকি পড়াশোনায় মন দেয়াটাও তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
#information #bangla #mahatmagandhi #marriedlife

Комментарии

Информация по комментариям в разработке