এক সময়ের ধনী দেশ থেকে কিউবা কিভাবে গরিব হয়ে পড়লো | আদ্যোপান্ত | How Cuba Became Insanely Poor

Описание к видео এক সময়ের ধনী দেশ থেকে কিউবা কিভাবে গরিব হয়ে পড়লো | আদ্যোপান্ত | How Cuba Became Insanely Poor

এক সময়ের ধনী দেশ থেকে কিউবা কেন গরিব হয়ে পড়লো ?? আদ্যোপান্ত সাবস্ক্রাইব করে নোটিফিকেশন অন করে দিন 🔔 :    / adyopanto  

ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন প্রথম কিউবার তীরে পা রাখেন তখন তিনি এটিকে ‘চোখে দেখা যায় এমন সবকিছুর চেয়ে সুন্দর’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্বর্গ আখ্যা পাওয়া এই অঞ্চলটি শীঘ্রই অর্থনীতির শক্তিশালায় পরিণত হয়েছিল। ১৯২০-র দশকের মধ্যে দেশটির বিশাল চিনি শিল্প আয় করেছিল বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক পরাশক্তি যেমন আমেরিকানদের মধ্যে যারা অ্যালকোহল নিষেধাজ্ঞার কবলে ছিল তাদের কাছে কিউবা হয়ে উঠেছিল ‘৭০০ মাইল বিস্তৃত খেলার মাঠ’। দলে দলে পর্যটক কাড়ি কাড়ি ডলার ঢালতে শুরু করতেই রাজধানী হাভানা বিলাসবহুল ফোর্ড গাড়ি, জমকালো হোটেল, ইয়ট ক্লাব এবং অত্যাধুনিক অবকাঠামোতে ভরে উঠে। বলা যায় সেসময় কিউবা ধনী দেশগুলোর কাতারে যুক্ত হওয়ার পথে ছিল। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে মাত্র ৬৫ লাখ জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও দেশটি ছিলো বিশ্বের ২৯তম বৃহত্তম অর্থনীতি। সে সময় আয়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কিউবার মাথাপিছু জিডিপি বেশি তো ছিলই, এমনকি স্পেন ও জাপানের তুলনায় ছিল দ্বিগুণ। শুধু কি তাই! দেশটিতে যুক্তরাজ্যের চেয়েও জনপ্রতি চিকিৎসকের সংখ্যা ছিলো বেশি, উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় গড় আয়ুও যেমন বেশি ছিল তেমনি শিশুমৃত্যুর হারও ছিলো উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

সর্বোচ্চ বেতন প্রদানে প্রথম সারিতেই অবস্থান করত দেশটি। ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে শিক্ষিত জাতি হিসেবে কিউবাকে গড়ে তোলার শিক্ষামূলক উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। সবমিলিয়ে সেসময় কিউবার অর্থনীতি দেখে মনে হওয়া স্বাভাবিক, সবকিছুই ঠিকঠাক মতোই চলছে। একটি মুক্তবাজার ব্যবস্থা- যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও মুক্ত, একটি শিক্ষিত এবং কর্মঠ কর্মীবাহিনী, পৃথিবীর সেরা প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, দেশের পাশেই ধনী পর্যটকদের বিশাল সংখ্যা, আশ্চর্যজনকভাবে উর্বর কৃষি জমি এবং খনিজ ও পেট্রোলিয়ামের সমৃদ্ধ মজুদ- এসব কিছু দেখে কিউবা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত বলে মনে হওয়াটা মোটেই আশ্চর্য নয়।

তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিগত তিন দশক ধরে কিউবানরা চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯০-এর দশকে খাদ্য ঘাটতির কারণে কিউবানদের গড়ে ২০ পাউন্ড করে ওজন কমে যায়, প্রায় ৪০ হাজার মানুষ অপুষ্টির কারণে অন্ধ হয়ে যায়। লোডশেডিং এতই বেড়ে গিয়েছিল যে বিদ্যুৎ থাকতই না বরং মাঝে মাঝে আসত। প্রকৃতপক্ষে কিউবা ততদিনে তার সমগ্র অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ ও ক্রয় ক্ষমতার ৭০ শতাংশ হারিয়েছে এবং প্রায় অর্ধেক দেশই ডুবে যায় বেকারত্বে। উন্নত জীবনের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ নৌকা কিংবা ভেলায় চড়ে লাখ লাখ কিউবান সাগর পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, যাদের মধ্যে সাফল্যের হার ৫০ শতাংশেরও কম। আজও সেই অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে কিউবানরা। কিউবা ফের বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু কেন? এত কিছু থাকার পরও কিউবা এখনও এত দরিদ্র কেন?

▶ Follow Me on Facebook:
  / damahbub  
▶ Follow Me on Instagram:
  / da.mahbub  

💻 যুক্ত হোন:
ফেইসবুক:   / adyopanto  

💻 আমাদের ওয়েবসাইট:
https://www.atpoure.com

📌 For Copyright Related Issues, please contact us:
[email protected]

Комментарии

Информация по комментариям в разработке