যে জিকির ২০০বার করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে | মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী | Mustakunnabi Kasemi

Описание к видео যে জিকির ২০০বার করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে | মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী | Mustakunnabi Kasemi

যে জিকির ২০০বার করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে। ​আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi waz new waz 2024

স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যদি মিল মহব্বত কমে যায় বা উভয়ের মাঝে বনিবনা না হয় বা তাদের একজন অপর জনের ওপর অসন্তুষ্ট হয় তাহলে , পবিত্র কুরানের এই আয়াত,
وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي
(ওয়া আলকাইতু আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নি ওয়ালিতুসনাআ আলা আইনি)
(সুরা তহা-৩৯)
আয়াতের অর্থ হল- আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও।
স্বামী রাগ করলে স্ত্রী স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়তে থাকবে । (যখন যখন স্বামী স্বামী সামনে আসবে তখন তখন স্ত্রী এই আমল করবে ) ।আর স্ত্রী রাগ করলে স্বামী স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়তে থাকবে । (যখন যখন স্ত্রী সামনে আসবে তখন তখন স্বামী এই আমল করবে ) । আল্লাহর রহমাতে দুজনে মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে ।

জিকিরে প্রশান্তি মেলে হৃদয়ে

প্রায়ই আমাদের এমন হয়, কিছুই ভালো লাগে না। মানসিক অশান্তি চেপে বসে। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জাগে। তুমুল অস্থিরতা মনোজগৎকে করে তোলে বিকারগ্রস্ত। এমতাবস্থায় আমরা কী করি? খুঁজতে থাকি, কীসে একটুখানি শান্তি মিলবে। বিতৃষ্ণা হৃদয়ে প্রশান্তির হাওয়া বইবে। অনেকেই জানে না এমতাবস্থায় কীসে মিলবে সে শান্তি। অথচ স্বয়ং আল্লাহ তা বাতলে দিয়েছেন আমাদের জন্য-‘এরা সেই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্তি লাভ করে। স্মরণ রেখো, কেবল আল্লাহর জিকিরেই অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়’(সুরা রাদ : ২৮)। একবার পরীক্ষা করেই দেখুন। মুহূর্তেই আপনার হৃদয়ে প্রশান্তির শীতল পরশ বয়ে যাবে। একটু আগের বিষণœতা ও অস্থিরতা বেমালুম ভুলে যাবেন। এ ছাড়াও আল্লাহর জিকিরে অন্তরে আল্লাহর বড়ত্ব ও বড়ত্বের ভয় সঞ্চার হয়। আর যখন আল্লাহ তায়ালার ভয় ঢুকবে তখন গুনাহও কমে যাবে। অন্তর থাকবে কলুষমুক্ত ও পবিত্র। ফলে মানসিক অস্থিরতাও দূর হয়ে যাবে।

আসলে মানুষের হৃদয়ের খাবার হচ্ছে জিকির। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তার সত্তাগত ও গুণগত নামের স্মরণ ও উচ্চারণকে জিকির বলা হয়। মহান আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আত্মিক পবিত্রতা অর্জিত হয়। হৃদয় প্রশান্ত হয়। ইবাদতে মনোনিবেশ করতে হৃদয়ে উদ্দীপনা তৈরি হয়। মন্দ কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়। মহান রবের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা জন্মায়। সেদিকে ইঙ্গিত করে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা যখন মহান আল্লাহর জিকির করে তাদের হৃদয় নরম হয়ে যায়।‌ যখন তার আয়াতমালা পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর তারা তো তাদের রবের প্রতি আস্থা রেখে থাকে’ (সুরা আনফাল : ২)। অন্যত্র এসেছে, ‘যারা ঈমান এনেছে, তাদের হৃদয় তো মহান আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে প্রশান্ত হয়।’ (সুরা রাদ : ২৮)

অধিক পরিমাণে জিকির করা মহান আল্লাহর ভালোবাসার প্রাপ্তির নিদর্শন। আল্লাহ যাকে বেশি ভালোবাসেন তাকে এই সৌভাগ্য দান করেন। আর মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টির লক্ষণ হচ্ছে জিকিরের সৌভাগ্য নসিব না হওয়া। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহান আল্লাহর ভালোবাসার নিদর্শন হলো আল্লাহর জিকির ভালোবাসা। আর আল্লাহর অপছন্দের নিদর্শন হচ্ছে, আল্লাহর জিকির অপছন্দ করা’ (বায়হাকি : ৪১০)। যাদের হৃদয়ে রয়েছে আল্লাহর প্রতি মহব্বত, তারা অনবরত মহান আল্লাহর জিকিরে মত্ত হয়ে থাকে, তাদের মাঝে গায়েবি নূর ফুটে ওঠে। তাদের দেখলেই মন নরম হয়ে যায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তৈরি হয় ও মহান আল্লাহর কুদরতের স্মরণ জাগ্রত হয়। বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দা তারাই, যাদেরকে দেখলে আল্লাহর স্মরণ জাগ্রত হয়।’ (সিলসিলাতুস সহিহাহ : ১৭৩৩)


পুনরুত্থান দিবসে অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতি ঘটবে। সবাই উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটবে। বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে কেউ রেহাই পাবে না। তবে সাত শ্রেণির মানুষকে মহান আল্লাহ নিজ আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন। তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো মহান আল্লাহর জিকিরকারী। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘সাত ব্যক্তি এমন রয়েছে, যাদেরকে মহান আল্লাহ আপন আশ্রয়ে স্থান দেবেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যে আল্লাহর জিকির করে অতঃপর তার উভয় চোখ বিগলিত হয়ে যায়’ (বুখারি : ৬৪৭৯)।

মহান আল্লাহর স্মরণ মানুষকে যেমন করে কল্যাণকর কাজে উৎসাহ জোগায়, তেমনি মন্দকাজ থেকেও বিরত রাখে। তাই জীবনকে পবিত্র ও মূল্যবান করে তুলতে জিকিরের গুরুত্ব উপলব্ধি করা অপরিহার্য। আর নিজেকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়োজিত রাখা একজন সফল মুমিনের নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে জিকিরের মহত্ত্বকে হৃদয়ে লালন করার তওফিক দিন।


#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেম
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#mustakunnabi_new_waz
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2024

Комментарии

Информация по комментариям в разработке