সাধনা বন-৩ শিল্পী -তাপসী চাকমা মডেল-মিষ্টি চাকমা

Описание к видео সাধনা বন-৩ শিল্পী -তাপসী চাকমা মডেল-মিষ্টি চাকমা

৪ঠা নভেম্বর ২০১৭ইং থেকে ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৭ ইং পর্যন্ত ১মাস ব্যাপি আকাশ প্রদীপ উত্তোলনের অনুষ্ঠানের কিছু কথা- চারিদিকে সবুজ বন বনানী, পাখির কিচিরমিচির শব্দ,পাহাড়ের গাঁ ঘেষে বয়ে যাওয়া ছড়াছড়ির স্রোতময় ঝর ঝর শব্দ মনকে করে শান্ত,পবিত্র ও মৈত্রীময় চিত্তের অধিকারী।পর হয়ে যায় আপন,শত্রু হয়ে যায় বন্ধু এই মনোরম পরিবেশে প্রকৃতির শান্ত সৌন্দর্যময় পরিপূর্ণ এই সাধনাটিলা বন বিহার। বছর শেষে ঘুরে ফিরে এল সেই দিনটি,সেই সময়,সেই ক্ষণ বুদ্ধের কেশ ধাতু পূজার মুহূর্ত। ৪ঠা নভেম্বর রোজ শনিবার ২০১৭ইং সময় বিকাল ৪:৩০ মিনিটে আকাশ প্রদীপ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানটি আরম্ভ করা হয় সাধনাটিলা বন বিহার প্রাঙ্গনে।শত শত পূণ্যার্থী এবং কর্ম ও কর্মফল বিশ্বাসী মানব এসেছিল পূণ্যার্জন করতে।সাজানো হয়েছিল সেই স্থানটি নানা রং বেরং এর কাগজ আর বাঁশ দিয়ে সৌন্দর্য মন্ডিতভাবে।সেই পূণ্যময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনুত্তর পূণ্যক্ষেত্রের ভিক্ষু সংঘ ও শ্রামণগন।চারিদিক তেলের প্রদীপ দিয়ে সাজানো ছিল সেই পূণ্যময় স্থানটি।মাঝখানে ছিল সুউচ্চ লম্বা দুটি বাঁশ দিয়ে প্রদীপ জ্বলানোর আরেকটি স্থান।অনুষ্ঠান মঞ্চে অনুত্তর পূণ্যক্ষেত্র ভিক্ষু সংঘের সামনে পঞ্চশীল গ্রহন করে বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্ট পরিষ্কার দান ও উৎসর্গ পর্ব শেষ করা হয়।তারপরপরি তাবতিংস স্বর্গে দেবরাজ ইন্দ্র দ্বারা সুরক্ষিত,সুসজ্জিত এবং সকল দেবগন দ্বারা পূজিত চূলামণি চৈত্যের উদ্দেশ্যে পূজা আর প্রার্থনা শুরু করা হয়।খুশি মনে শ্রদ্ধা চিত্তে পূজা আর প্রার্থনা শেষে করা হয় অশান্ত চিত্তকে শান্ত করার কাজ,অদমিত চিত্তকে দমিত করার কাজ,স্মৃতির মাধ্যমে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির কাজ এক কথায় যাকে বলা হয় ভাবনা করা।ভাবনা কার্য সম্পাদনের পর পরম শ্রদ্ধেয় বুদ্ধ বংশ স্থবির ভান্তে দেশনা আরম্ভ করেন উপস্থিত সকল পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে।তিনি তার মূল্যবান কথার মাঝে আনন্দের সাথে আশীর্বাদ জানান শ্রদ্ধাবান উপাসক রঙ্গরায় মেম্বার,টিংকু চাকমা এবং তাদের সাথে যারা যারা আকাশ প্রদীপ জ্বালানোর ঘরটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে সুসম্পন্ন করেন।সেখানে উপস্থিত সকল পূণ্যার্থীদের প্রতিও তিনি আন্তরিকতার সহিত হিত সুখ মঙ্গল কামনা করে আশীর্বাদ প্রদান করে দেশনার পরিসমাপ্তি করেন। ১মাস ব্যাপি আকাশ প্রদীপ উত্তোলনে সাধনাটিলা বন বিহারের পালা সিয়ং দান কারিদের পূণ্য করার সুযোগ দেওয়ার তাগিদ পালা ভিত্তিক আকাশ প্রদীপ উত্তোলন করার রুটিন প্রদান করা হয়।পালাক্রমে সকলে প্রতিদিন এসে আকাশ প্রদীপ প্রজ্জলন ও উত্তোলন কাজটি সম্পন্ন করে যায়।পালা পর্যায়ে যারা যারা আকাশ প্রদীপ উত্তোলন করেছেন যারা এই মহৎ পূণ্য কাজে যারা স্ব-শরীরে অংশগ্রহন করেছিল কিংবা অংশগ্রহণ করতে পারেনি দূর থেকে সহযোগীতা দিয়েছেন তাদের সকলের মন বাসনা পূরন হোক এবং নির্বাণ লাভের হেতু উৎপত্তি হোক এই কামনা করছি। আজ ৩রা ডিসেম্বর ২০১৭ ইং রোজ রবিবার শীতের সুন্দর সকাল ঘাসের উপর পড়ে থাকা শিশির বিন্দু সূর্যের আলোয় চিকচিক করছে মণিমুক্তার মতো,পাখি ডাকছে কিচিরমিচির শব্দে,ছোট ঝড়নার ঝড় ঝড় শব্দ কানে ভেসে আসছে,চারদিকে সবুজ গাছ-গাছালি, গাঁয়েচাদর জড়িয়ে মিষ্টি রোদ্রের তাপ অনুভব করে কাগজ আর কলম নিয়ে লিখতে বসলাম প্রকৃতির সাথে আড্ডা মিলিয়ে। অনেক পূণ্যমনা মানব দা,ছাবল নিয়ে এসেছে অনুষ্ঠানের সৌন্দর্যরূপ ফুটিয়ে তোলার জন্য কাজ করতে।এরই মাঝে অনেকে মঞ্চ সাজাতে ব্যাস্ত,অনেকে বসার আসন ঠিক করে দিচ্ছে,অনেকে ৮৪ হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনের জন্য কলাগাছ মাটিতে পুঁতে দিচ্ছে।সকলেই যে যার কাজ শ্রদ্ধার সহিত করে যাচ্ছে। এই সবের মাঝে ঘনিয় এল প্রতিদিনের ন্যায় আবারও আকাশ প্রদীপ উত্তোলনের সময়টুকু।এখন সময় বিকাল ৪:৩০ মিঃ।শীতের বিকালে ঠাণ্ডা হাওয়া লেগে যায় সর্বাঙ্গ শরীরে।শত শত পূণ্যার্থীবৃন্দ এসেছে আজ আকাশ প্রদীপ উত্তোলনের জন্য পূণ্য সঞ্চয় করার ইচ্ছায়।তাছাড়াও পূর্ণিমা উপলক্ষে অষ্টশীল গ্রহন করার জন্য এসেছে ২৩৮ জন পূ্ণ্যার্থী।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке