নদীয়ার রানাঘাটের বিনোদিনী পার্ক

Описание к видео নদীয়ার রানাঘাটের বিনোদিনী পার্ক

পার্কের প্রবেশমূল্য মাথাপিছু 20 টাকা । ডি এস এল আর বা ক্যামেরা নিযে ঢুকলে আলাদা করে টিকিট নিতে হয । সাইকেল , স্কুটি, মটর সাইকেল , চারচাকা প্রভৃতি যানবাহন নিযে গেলে প্রত্যেকটি যানবাহনের জন্য আলাদা আলাদা করে চার্জ দিতে হয় । টিকিট কাউন্টারের সামনেই আছে গাড়ী পার্কিং--এর জায়গা । পার্কটি খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল এগারোটা থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত । পার্কটির উদ্বোধন হয়েছে দুই হাজার ঊনিশ সালের বাইশে জানুয়ারি ।
পার্কটির প্রবেশদ্বারটি তৈরী হয়েছে মিশরের পিরামিডের আদলে । বাইরে থেকে জলের বোতল , খাবার নিযে ঢোকার অনুমতি নেই । সেজন্য ঢোকার সমযে ব্যাগ সার্চ করা হয় । সিকিউরিটি গার্ডদের বসার জাযগার কারুকার্য লক্ষ্যণীয় । এখানে মিশরের ফ্যারাও--দের মূর্তি, স্থাপত্য ,ভাস্কর্য সবই দেখা যাচ্ছে । পার্কটির ভিতরের শ্যামলিমা দেখার মতো । বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ এখানে সারিবদ্ধভাবে থেকে পার্কটির শোভাবর্ধন করছে । পার্কটিতে ঢোকার পরেই বাঁ দিকে রয়েছে চিল্ড্রেন পার্ক । এখানে দোলনা ও রাইড আছে । এখানে ছোটো থেকে বড়ো সবাই চড়তে পারে । আছে বসার জায়গা । আছে বাচ্ছাদের স্লিপ , ব্যালেন্স, আর আছে রাউন্ডের মতো গোল গোল একটা রাইড । এটাতে দুইজনে চড়তে হয । এই চিল্ড্রেন পার্কের দুই দিকে আছে জিরাফ । এই চিল্ড্রেন পার্কের সবগুলি রাইডই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় । চিল্ড্রেন পার্ক ছাড়া অন্য সব রাইডে চড়তে হলে মাথাপিছু কুড়ি টাকা করে টিকিট কাটতে হয । চিল্ড্রেন পার্ক থেকে একটু এগিয়ে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে একটি সুদৃশ্য ফোয়ারা । ফোয়ারার পাশে আছে একটি সুদৃশ্য বৈদ্যুতিক বাতি । সন্ধ্যার পর ফোয়ারাটি চালানো হয ও আলোগুলি জ্বালানো হয । তখন এখানকার পরিবেশ হযে ওঠে মনোমুগ্ধকর । পাশেই আছে গোটাকতক রাইড । এই রাইডগুলোতে চড়তে গেলে মাথাপিছু কুড়ি টাকা করে টিকিট কাটতে হয । রাইডগুলোর পাশেই আছে বিভিন্ন ফুলের গাছ । রাইডগুলোর পাশ দিয়ে আড়ালে নির্জনে বসার অনেক জায়গা আছে , সেখানে কাপলরা নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পারেন । এখানে চলে ট্রযট্রেন । এই ট্রেনে চড়তে হলে মাথাপিছু কুড়ি টাকা করে টিকিট কাটতে হয । এখানের স্টেশনের নাম ব্রহ্মডাঙা । এই ব্রহ্মডাঙা স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের বসার জন্য জাযগাও আছে । ব্রহ্মডাঙা স্টেশনে চালু আছে ওযাই ফাই । এর ''বিনোদিনী'' । নম্বর 12345678 , পার্কটিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের সবাই এখানে ওযাই ফাই ব্যবহার করতে পারেন । তারপর সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়ার সময় দেখতে পাওয়া যাবে ক্যাপলদের বসার জন্য আরো অনেক জায়গা । এই জায়গাটি খুবই নিরিবিলি । কাপলরা এখানে নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারেন । এদিকে খুব একটা বিশেষ কেউ আসে না । তাই জায়গাটি একেবারেই ফাঁকা । সিঁড়ি দিয়ে নেমে গিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই দেখা যাবে আর একটি ফোয়ারা । তার থেকে এগিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে ফুচকা , চিপস ,কোল্ডড্রিঙ্কস, মোমো , বিরিয়ানি, আইসক্রিম, বিভিন্ন রকমের স্ন্যাকস, জলের বোতল প্রভৃতির স্টল । সেলিব্রেশনের জন্য আছে একটি দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ । একটি নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে এই মঞ্চটি ব্যবহার করা যায় । কুড়ি টাকার বিনিময়ে পার্কে থাকা যায় পার্ক খোলা থেকে বন্ধ হওযার সময় পর্যন্ত অর্থাত্ সকাল এগারোটা থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত যতক্ষণ খুশি সময় । পার্কটি চূর্ণী নদীর ধারে অবস্থিত । চূর্ণী নদীর ঠান্ডা হাওয়া মন প্রাণ শীতল করে দেয । এখানকার শ্যামলিমায মনটাও সবুজ হযে ওঠে । এই বিনোদিনী পার্ক সত্য সত্যই আমাদের মনের বিনোদন করে । আমরা আনন্দ ভরপুর হয়ে উঠি ।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке