#চৌহাট্টার

Описание к видео #চৌহাট্টার

#বীরভূম জেলার লাভপুর থানার চৌহাট্টা গ্রামের বাবা চন্দ্রচূড় মহাদেবের মন্দির । #গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই মন্দির । #পাশেই আছে শ্মশান কালী মন্দির । #শ্মশানের মেঝে কেউ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাতে পারে না ।#বাঁধনোর চেষ্টা কেউ করলেই তার অঘটন ঘটে । #চন্দ্রচূড় বাবার মন্দিরের পরিবেশ মনোরম ।#শান্ত নিরিবিলি স্থানে রয়েছে এই মন্দির । #অলৌকিকতার শেষ নেই এখানে । #বাবা চন্দ্রচূড়ের স্নানজল ও পুষ্পের দ্বারা নিরাময় হয় পেটের সব দুরারোগ্য ব্যাধি । #সন্তানহীন মায়েরা পান সন্তান ।#আজ যেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠিত বহু পূর্বে সেখানে ছিল ঘন জঙ্গল । #ঐ স্থানের আশেপাশে ছিল গোয়ালাদের বসবাস ।#গোযালাদের একটি গাই প্রতিদিন বাড়ীতে দুধ না দিয়ে বাবা চন্দ্রচূড় মহাদেবের মাথায় দুধ দিয়ে যেত ।#গোযালা গরুটিকে একদিন অনুসরণ করে বাবা চন্দ্রচূড় মহাদেবের সন্ধান পায ।#তখন সেই গোয়ালা দেখে একটি শিবলিঙ্গ ।#গোয়ালার বুঝতে আর বাকী থাকে না গাইছি প্রতিদিন এখানেই দুধ দিয়ে যায় ।#তখন সেই গোয়ালা রাগের বশবর্তী হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিবলিঙ্গের মাথায় আঘাত করে । #শিবলিঙ্গের মাথায় তিন জাযগায আঘাত করেছিল সে । #এখনও সেই আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান । #তিনটি গর্ত দেখা যায় শিবলিঙ্গ । #এই ঘটনার জন্য বাবা চন্দ্রচূড় মহাদেবের রোশের শিকার হয় গোয়ালারা । #তখন থেকে কোনো গোয়ালা আর ওই স্থানে বসবাস করতে পারে না । #সন্ধ্যারতি হয়ে যাবার পর রাতে এখানে কেউ থাকতে পারে না । #একজন পূজারী থাকার চেষ্টা করেছিলেন , কিন্তু তিনি মারা যান । #একবার সাধুর ছদ্মবেশে এক ভন্ডুল এসেছিল এই মন্দিরে । #সে শিবলিঙ্গের আঘাতের জাযগায চুন ঢুকিয়ে দিয়েছিল । #তারপর কমিটির পক্ষ থেকে পূজারীকে দিয়ে সেই চুন পরিষ্কার করা হয় । #ভন্ড সাধুর ছেলেরা এসে তাকে বাড়ীতে নিয়ে যায় । #এগারো দিন পরে সেই ভন্ড সাধুর মৃত্যু হয় এবং তার দেহ থেকে সাদা সাদা পোকা বের হতে থাকে । #এই ঘটনার পর থেকে আর কেউ কোনোরকম দুষ্কর্ম করবার সাহস করে না । #ভক্তদের সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয় । #প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার পরমান্ন ভোগ নিবেদন করা হয় বাবাকে এবং পরে সেই পরমান্ন বিতরণ করা হয় সকল ভক্তদের মধ্যে বাবার প্রসাদরূপে । #শ্রাবণ মাসে বহু দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত এসে বাবার মাথায় জল ঢালে ।#চৈত্র মাসে খুব ঘটা করে গাজন উত্সব পালিত হয় । #তখনও বহু ভক্তের সমাগম হয় । #বাবার মন্দির চত্বরে প্রতিষ্ঠিত আছেন ভৈরবনাথ । #গাজনের সময় ভৈরবনাথের সামনেই বলি হয় । #পূজারী কার্তিক চন্দ্র রায়ের কাছে শোনা গেল ভৈরবনাথ শাক্ত ,সেজন্য ওনার সামনে বলিদান হয় । #কিন্তু বাবা চন্দ্রচূড় মহাদেব বৈষ্ণব , সেজন্য ওনার সামনে বলি হয় না । #মন্দির চত্বরে আরো দুটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত ।#ঐ শিবলিঙ্গ দুটি ওখানকার দত্ত পদবীর বনিকদের । #তাই শিবলিঙ্গ দুটি বেনেদের শিব বলে পরিচিত । #এছাড়াও মন্দির চত্বরে আছে ষষ্ঠীতলা ।#এখানে জামাই ষষ্ঠীর দিন পূজা হয় এবং সন্তান লাভের পর মায়েরা ষষ্ঠীপূজা করেন ।#বাবা চন্দ্রচূড়ের মহিমার কথা বলে শেষ করা যাবে না । #আপনারা এখানে আসুন ,বাবাকে দর্শন করুন এবং মহিমা অনুভব করুন । #লাভপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে চৌহাট্টাগামী বাসে যেতে হবে এবং চৌহাট্টা বাসস্টপেজে নামতে হবে । #বাসস্টপেজ থেকে কিছুটা হেঁটে গেলেই পৌছে যাবেন বাবা চন্দ্রচূড় মহাদেবের মন্দিরে ।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке